পাতা:হরফ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনেকবার রোমাঞ্চ হয়েছে কিন্তু সেই সঙ্গে মানুষের রক্ত-মাংসের দেহ সম্বন্ধে অনেক কুসংস্কার আর ভুল ধারণাও তাদের কেটে গেছে, অনেক প্রয়োজনীয় জ্ঞানও তারা অর্জন করেছে। অপর্ণার চমকপ্রদ কথাবার্তা শুনেই যে পাড়ার একটি নব-দম্পতীর অশান্তিময় ভাঙ্গা জীবন আবার জোড়া লেগে সুখে শান্তিতে সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে, এ খবরও অনেকে জানে। কারণ এই দম্পতীটি অপর্ণর এক জোড়া অন্ধ ভক্তে পরিণত হয়েছে এবং নিঃসঙ্কোচে নিজেরাই বন্ধু ও বান্ধবীদের কাছে প্ৰকাশ করেছে যে, কত তুচ্ছ কারণে তাদের জীবন নষ্ট হয়ে যেতে বসেছিল এবং কত সহজে অপর্ণ তাদের বাঁচিয়ে দিয়েছে। * " শুধু তাদের সন্তা ভুলটা বুঝিয়ে দিয়ে ! চন্দ্ৰা পরদিন স্বামী-গৃহে যাবে। তাকে লক্ষ্য করেই অপর্ণ কথা বলছিল এবং লজ্জায় সঙ্কোচে সে-ই কাতর হয়ে পড়েছিল সবচেয়ে বেশী। তবু অপর্ণ গ্ৰাহ না করেই বলতে থাকে, তুমি বড় বোকা মেয়ে। নিজেকে সন্তা করার ভয়ে নিজের জীবনটা নষ্ট করতে বসেছি। একটিবার মিলনের জন্য জহরকে প্রাণপণে লড়াই করতে হয়! নিজেকে সন্তাই যে করে ফেলনি তাই বা কে জানে ? হয়তো জহরের মনে ধারণা জন্মে গেছে ভেতরে ভেতরে তোমার কোন অসুখ বিমুখ আছে, নইলে এই বয়সে বিয়ের প্রথম বছরে অপর্ণ চুপ করে মিনিটখানেক ভাবে। তারপর একটু হেসে বলে, তোমাকে বোকা বলছি, আমিও তোমার মতই বোকা ছিলাম। শোন আমার বোকামির গল্প-তাহ’লে নিজের ভুল বুঝতে পারবে। বোকামি করে এমন ভুল করেছিলাম যার ফলে জীবনের সব সুখশান্তি SO 3