পাতা:হরফ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তোমরা লেখকরা বড়ই কাছাখোলা লোক । কলকাতার পথেঘাটে হরদম পকেট থেকে টাকা মারা যাচ্ছে জানো না ?

  • বিহবল দুৰ্গানাথ বলে, বাস থেকে নেমে একবার হাত দিয়ে দেখেছিলাম ব্যাগটা ঠিক আছে।

ধনেশের বুকটা কঁাপিয়া ওঠে। দুর্গানাথের সামান্য টাকাটা চুরি করিয়া কি বোকামিই করিয়াছে। এই কথাটাই হয় তো দুৰ্গানাথের মনে তোলপাড় করিবে যে বাস হইতে নামিয়া পকেটে হাত দিয়া দেখিয়াছিল পকেটে টাকা ঠিক আছে-তার প্রেসে ঢুকিবার পর শূন্যে মিলাইয়া গিয়াছে নোটগুলি । হয় তো আর তার প্রেসে আসিবে না। দুর্গানাথ" হয় তো আর সে তাকে কোন কাজ দিবে না । হয় তো সকলের কাছে তাহার নিন্দ করিয়া বেড়াইবে। এরূপ চিন্তা দুৰ্গানাথের মনের কোনেও উকি মারে নাই। কিন্তু পাপীর মন সর্বদাই ভীত হইয়া থাকে যে, তাহার পাপকৰ্ম জানিবার বুঝিবার জন্য জগৎ-সংসারে সকলেই ওৎ পাতিয়া 可忆变目 ধনেশ হাসিয়া বলে, লেখক মানুষ, তোমাদের ব্যাপার আলাদা। বাসে উঠবার আগে, না বাস থেকে নেমে পকেটে টাকা ঠিক আছে জেনেছিলে ভাই ? দুৰ্গানাথ মাথায় ঝাকি দিয়া বলে, কী জানি আমার মাথা ঘুরছে। একটা নিশ্বাস ফেলিয়া ধনেশ বলে, আমারও এমন অবস্থা s