পাতা:হরিশ ভাণ্ডারী (তৃতীয় সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিশ ভাণ্ডারী Sob° অনেক রাত হয়ে গিয়েছে।” এই বলিয়া হরিশ আড়তে চলিয়া গেল । 1 سيالا L আমরা যে বৎসরের কথা বলিতেছি, সে বৎসর শীতকালের । প্রারম্ভে কলিকাতা সহরে ভয়ানক বসন্তের প্রাদুর্ভাব হইল । আজকালকার মত তখন সফরের এমন সুব্যবস্থা ছিল না ; কোন রোগের প্রাদুর্ভাব হইলে, মিউনিসিপ্যালিটি হইতে রোগ নিবারুণ বা প্রশমনের জন্য উপায় অবলম্বিত হইত না । যখন বসন্ত আরম্ভ হইল, তখন যাহাদের মফস্বলে বাড়ীঘর ছিল, তাহারা দেশে পলায়ন করিল ; আর যাহারা অনন্তগতি তাম্বারা ভয়ে-ভয়ে কলিকাতাতেই বাস করিতে লাগিল। যাহাদের অদৃষ্ট সুপ্ৰসন্ন, তাহারা বাচিয়া উঠিতে লাগিল, কিন্তু অনেকেই মারা যাইতে লাগিল । স্কুল-কলেজের কর্তৃপক্ষ স্কুল কলেজ বন্ধ করিয়া দিলেন ; ছাত্রেরা দেশে চলিয়া যাইতে আরম্ভ করিল। পরেশদের মেসের ছেলেরা মেস বন্ধ করিয়া যে যাহার বাড়ীতে যাওয়ার ব্যবস্থা করিল। পরেশকে বাড়ী যাওয়ার কথা বলায় সে বলিল “বাড়ীতে কোথায় যাব ? আমার ত বাড়ী নেই।” । অমর বলিল”ভাই পরেশ, তুমি আমার সঙ্গে আমাদের বাড়া চল।” এই সময় হাঁপাইতে হাঁপাইতে হরিশ মেসে আসিয়া উপস্থিত হইল ; তাহার আজ পাঁচদিন জার। সে এই পাঁচদিন পরেশের খোঙ্গ লইতে পারে নাই ; এমন লোকও তৃহার স্থাতে