পাতা:হরিশ ভাণ্ডারী (তৃতীয় সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৭ , • হরিশ ভাণ্ডারী অমর বলিল “দৃষ্টিশক্তি ফিরাবার কি কোন উপায় নেই ?” ডাক্তার বাবু বলিলেন “সে দিন আমি দেখে যতদূর বুঝেছি, তাতে দুই চোখেরই তারকা একেবাৱে নষ্ট হ’য়ে গিয়েছে। তবে আমি ত চক্ষু-চিকিৎসা সম্বন্ধে বিশেষ অভিজ্ঞ নই ; মোটামুটি দেখতে জানি, তাই থেকেই বলছি। হরিশকাক আর একটু সুস্থ হ’লে ভাল একজন চক্ষু-চিকিৎসক দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে দেখা যাবে। তোমরা নিরাশ হােয়ে না। হরিশকাকার দৃষ্টি ফিরিয়ে ཨ་ཤi༈ জন্য যদি কোনও উপায় থাকে, তা আমি অবশ্যই করব ; তোমরা এখনই ব্যস্ত হোয়ে না।” অমর বলিল “তা হ’লে ডাক্তার বাবু আপনি একবার আমাদের বাসায় চলুন। হরিশকাকাকে সেই কথাই বলবেন । তিনি বড়ই কাতর হ’য়ে পড়েছেন। পরেশ ত একবারে কেঁদে (评{司乙豆” ডাক্তার বাবু বলিলেন “দেখ, তোমরা কাতর হ’লেই হরিশকাকাও কাতর হবে । তোমরা যদি ব্যাকুল না হও, তা হ’লে কিছুতেই তাকে কাতর করতে পারবে না। তোমরা ছেলেমানুষ,তোমরা এখনও হরিশকাকাকে চিনতে পার নাই। পৃথিবীর সহস্ৰ বিপদেও তাকে কাতর করতে পারে না, এ আমি বেশ বুঝেছি। এ বয়সে আমি অনেক লোক দেখেছি, অনেক রোগীর চিকিৎসা করেছি, কিন্তু এমন লোক আমি দেখি নাই।” অমর বলিল"সে যাই হোক ডাক্তার বাবু, আপনাকে একবার আমাদের সঙ্গে যেতেই হচ্চে।” ^ ডাক্তারবাবু বলিলেন “চল, আমি ত প্ৰস্তুতই আছি।”