পাতা:হরিশ ভাণ্ডারী (তৃতীয় সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিশ ভাণ্ডারী SSo আনন্দের কথা আর নাই। কিন্তু এত আনন্দোও ডাক্তার বাবু, আমার প্রাণে বড় কষ্ট হচ্চে । মিত্র বলছিলেন, তঁর না কি দুটা চক্ষুই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমি বলছিলাম, মিথ্যা, কথা । আপনি ঠিক করে বলুন ত ওরি দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়েছে কি ?” হরিশ বলিল “ডাক্তার বাবু, আমার চোখ দুটো কি একবার —একটা বারের জন্য খুলে দিতে পারেন না ? কেবল একটী বার আমি চোখ চেয়ে দেখতে চাই, আমার দয়াল প্ৰভু আজ যাকে আমার পাশে এনে বসিয়ে দিলেন, তীর রূপ আমার ਈਝੂ রূপের মত কি না । আর দেখতে চাই, আপনি ডাক্তার বাবু, মানুষ না দেবতা । তারপর জন্মের মত আমার চোখদুটো বন্ধ করে দেবেন ; আমি একটুও কাতর হব না। আমার বাছাদের আমি দেখেছি, এখনও এই অন্ধকারে তাদের মুখ আমি দেখতে পাচ্ছি ; তাদের ত আমি হারাই নেই ডাক্তার বাবু ; কিন্তু যিনি আজ আমার মত অধমকে মিতে ব’লে ডাকৃলেন, সেই দয়াল মিতেকে যে আমি দেখতে পাচ্ছিনে, আপনাকে যে আমি দেখতে পাচ্ছিনে, এই আমার বড় কষ্ট ।” ডাক্তার বাবুর চক্ষু সজল হইল।--তিনি অতি কষ্টে অশ্রু সংবরণ করিয়া বলিলেন “হরিশকাকা, আপনি ত আপনার দয়াল প্রভুর রূপ দেখতে পাচ্চেন, তা হ’লেই হোলো। মানুষের মুখ * . . ত এত দিন দেখেছেন, মানুষের মায়ায় তা এত দিন বদ্ধ ছিলেন। প্ৰভু যে তা চান না ; তঁর ইচ্ছা তঁার পরম ভক্ত দিনরাত তীরই রূপসাগরে ডুবে থাকেন; সেই জন্যই তিনি আপনার বাহিরেব “চোখ দুটো বন্ধ করে দিতে চান, এ তারই খেলা হরিশকাকা ।”