পাতা:হরিশ ভাণ্ডারী (তৃতীয় সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিশ ভাণ্ডারী ৩৬ নন্দকুমারের হৃদয় এ প্ৰবোধে আশ্বস্ত হইল না। বিদেশে পরের কাছে ছেলের কত কষ্ট হইবে, এই ভাবনায় নন্দকুমার । কাতর হইয়া পড়িল। তাহার পর তিন দিনের জ্বরেই তাহার দেহাবসান হইল। হরিশ এ সংবাদও পাইল না । সাত মাস পরে একদিন হরিশ বাড়ী আসিল। এতদিন তাহার মাতা কোন প্রকারে জীবনধারণ করিয়াছিল। এতদিন পরে পুত্ৰকে দেখিয়া नव्याकूव्र हौं ठाकोgअंद्र - 5ा श्igरू পাইল ; তাহার স্বামীশোক কাঞ্চিৎ निवांब्रिट श्व्न । হরিশ যাত্রার দলে যাহা স্নোতন পাইত, তাহাতে তাহার। গাঁজার খরচই কুলাইত না ; সুতরাং সে রিক্ত হস্তেই বাড়ীতে আসিয়াছিল। এই সাত মাসে তাহার মতিগতিও অন্তঃপ্রকার হইয়া গিয়াছিল। চাষের কাজ করা তাহার পক্ষে অসম্ভব ; অথচ গৃহেও অন্নাভাব। নন্দকুমারের মৃত্যুর পর হরিশের মাতা তাহার ‘জমি প্রতিবেশী একজনকে ভাগে বিলি করিয়াছিল। তাহারা দয়া করিয়া যাহা দিত, তাহাতেই কোন রকমে এতদিন চলিয়াছে। * : হরিশের মাতা এখন পুত্রকে বলিল, “বাবা, তোর আর চাকরী করে কােজ নেই। জমি ছাড়িয়ে নিয়ে নিজে চাৰি: 'কর,'। আমাদের কুলিয়ে যাবে।” : , হরিশ মাতার এ পরামর্শ কিছুতেই গ্ৰহণ করিতে পাব্লিন}; আবার কোন যাত্রার দলে প্রবেশ করিবার সুযোগ্ন অনুসন্ধান : করিতে লাগিল। কিন্তু এ সুযোগ কি সৰ্ব্বদাই উপস্থিত হয় ? মাস দুই: অপেক্ষা করিয়াও যখন গ্ৰন্থ কোন যায়ার দলের