পাতা:হরিশ ভাণ্ডারী (তৃতীয় সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিশ ভাণ্ডারী " と8 বলিল “আচ্ছা, তুমি যে থালা গেলাস কিনেছ, আমার এর মধ্যে তেমন আছে?” । পরেশ একখানি থালা ও একটা গেলাস দেখাইয়া বলিল “ঠিক এত বড়, এই রকমই থালা আর গেলাস কিনেছি। থালাখানার দাম নিয়েছে গাওয়া তিন টাকা, আর গেলাসটা এক টাকা চৌদ্দ আনা।” { দুৰ্গা বলিল “তা হলেই হয়েচে ; ঐ থালাখানা আমি আড়াই টাকায় কিনেছিলাম ; আর গেলাসটা ঠিক মনে পড়ছে না, তবে পােছ সিকের বেশী নয়, তা বলতে পারি। আরে বাবা, তোমাদের দুটা ছেলেকে দেখেই তারা বুঝেছিল, তোমরা বাঙ্গাল। তখন আর কি, দশটা মিষ্টি কথা বলে ঠকিয়ে দিয়েছে। যাক গে। তোমার কাকার ঐ রকম। আচ্ছা, কি কি বিছানা কিনেছ ? ? । । পরেশ বলিল “একটা তোষক, একটা বালিশ, আর দুখানা বিছানার চাদর, আর ७4कफ्रे! भाछद्ध।” “আর কিছু না।” ". . “আর আবার কি দরকার মাসি। মশারি বোলছ ? আমাদের মেসে মশা নেই, কেউ মশারি ব্যবহার করে না।” । দুর্গা বলিল, “তা নয়, দুখানা বিছানার চাদরে কি করে চলবে। একখানা ময়লা হোলে যদি ধোবার আসতে দেরী হয়, তা হলে কি হবে ? এখানকার ধোবাদের তা জানা: নীললেই কুড়ি দিন পরে জগন্নাথ-দেব এসে দেখা দেবেন; আর যদি ৷ পালিয়ে গেলেন, তা হোলে তা আরও ভাল। তখন কি হবে ?”