পাতা:হরিশ ভাণ্ডারী (তৃতীয় সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিশ ভাণ্ডারী । \უNoტ. দুৰ্গা কাতরস্বরে বলিল “তুই আমার কে, সে কথা ত ভাবি নাই বাবা! এই বুড়ে বয়স পৰ্য্যন্ত ত নিজের ভাবনাই ভেবেছি। তাই বুঝি মহাপ্ৰভু তোকে এনে মিলিয়ে দিলেন। সন্তান-স্নেহ যে কি, তা ত জানিনে বাবা! সে পথ যে অনেক দিন ছেড়ে এসেছি। তুই এসে যে আমাকে সেই পথের সন্ধান দিলি বাবা! এতকাল এই কলকাতা সহরে কত ছেলে দেখেছি, তোর চাইতে সুন্দর কত ছেলে দেখেছি ; কৈ কাউকে ত ভালবাসিনি; কারু দিকে ত মন টানে নি। তোকৈ দেখেই বেন মনে হােলো, তুই, আর জন্মে আমার কেউ ছিলি--বাবা, আমার ছেলে ছিলি। তাই (VK (ofte VCN3, TV5 মহাপাপীর বুকের মধ্যেও ছেলের জন্য ভালবাসা জেগে উঠল। অনেক পাপ করেছি। বাবা ; আর না । মহাপ্ৰভু তোকে সেই জন্যই এনে দিয়েছেন। তুই মাসী বলে ডাক্‌লে আমার যেন বুক জুড়িয়ে যায়। তাই ত তোর কথা এত ভাবি বাবা! কি বলুব, আমার যদি শক্তি থাকৃত, তা হোলে একটা বাস ক’রে তোকে নিয়ে থাকৃতাম।” । পরেশ অবাৰু হইয়া দুর্গার কথা শুনিতে লাগিল। এমন কথা ত সে অনেক দিন শোনে নাই ; তার মা আজি বেঁচে থাকলে এর বেশী তাকে কি বলতে পারতেন। সে কে ? এত সৌভাগ্যের অধিকারী সে কোন পুণ্যের ফলে । হইল, তাহা সে মোটেই বুঝিতে পারিল না। মাতৃহীন সন্তানের জন্য হরিশের হৃদয়ে এত স্নেহ, এত অনুগ্রহের সঞ্চার কে করিয়া, দিল? দুৰ্গা বাজারের } বেঙ্গা, তাহার সংস্পর্শে আসিলে’না কি পাপ হয়? কিয় ? পরিশের মনে হইল, এমন মহিয়সী রমণী’ জগতে আর নাই?’,

  • يفة ، " : "نعم".

... ", , ..