পাতা:হরিশ ভাণ্ডারী (তৃতীয় সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br(。 হরিশ ভাণ্ডারী ছিলেন। দুর্গার বিবাহের তিন মাস পরেই তাহার মাতার মৃত্যু হইল । বয়স অল্প বলিয়া দুৰ্গার পিতা কন্যাকে বাড়ীতেই রাখিয়াছিলেন ; স্ত্রীবিয়োগে তিনি বড়ই কষ্টে পড়িলেন। তখন গ্রামের দশজনের অনুরোধে তিনি নিকটবৰ্ত্তী গ্রামের এক দরিদ্র বিধবার ষোল বছরের একটী মেয়েকে বিবাহ করিয়া একেবারে শূন্ত গৃহ পূর্ণ করিয়া ফেলিলেন ; একটা সংসার আসিয়া তাহার স্কন্ধে পৃড়িল। দুর্গার বিমাতা তাহার বিধবা মাতা ও ভ্রাতাকে সঙ্গে লাইয়া স্বামীর ঘর করিতে আসিল । তাহারা দুর্গার পিতাকে সুপরামর্শ প্রদান করিয়া দুৰ্গাকে শ্বশুর-গৃহে পঠাইয়। দিল। দশবৎসর বয়সেই দুৰ্গা পিতৃগৃহ ত্যাগ করিয়া স্বামি গৃহে চলিয়া গেল। দুৰ্গার পিতা ও বিমাতা নিশ্চিন্ত হইলেন । সাত বৎসর দুৰ্গা স্বামীর ঘর করিল। সেখানে তাহার কোনই কষ্ট ছিল না। তাহার স্বামী গ্রামের জমিদারী-সেরেস্তায় চাকরী করিত; বেতন ও অন্যান্য বাবাদে সে যথেষ্ট টাকা পাই ত’। তাহার বুদ্ধ মনিব জমিদার বাবুর মৃত্যু হইলে, তাহার পুত্র নবীন যুবক যশোদালাল যখন জমিদারীর ভার পাইল, তখন দুর্গার স্বামী DEYLLL0Y D DDB DDSDDE DDBDKS DDYS চন্দ্ৰকে বড় ভাল চক্ষে দেখিত না। নরেশচন্দ্র সচ্চরিত্র যুবক ; সে প্রভুপুত্রের বদখেয়ালে যোগ দিতে পারিত না ; নান। কৌশলে আত্মরক্ষা করিয়া কোন প্রকারে চাকরী বজায় রাখিত । বৃদ্ধ জমিদারের মৃত্যুর পর নৱেশ বুঝিতে পারিল, হয় তাহাকে অন্যত্রচাকরীর চেষ্টা করিতে হইবে; আর না হয় যশোদালালের মােসা য়েন্ত্রীতে ভক্তি হইয়া নরকের পথে পদার্পণ করিতে হইবে।