পাতা:হরিশ ভাণ্ডারী (তৃতীয় সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SoY श्रुटद्भि* ऊ&४ গুলি যেন এক সুরে বাধা ; পড়াশুনা এবং পরীক্ষায় পাশ করা ব্যতীত তাহারা অন্য কোন কথা মনেই আনিত না । এখানকার মত, সে সময় এত বেশী থিয়েটার ছিল না ; বায়ুস্কোপের অস্তিত্বও তখন কলিকাতায় অজ্ঞাত ছিল। ক্রিকেট খেলা একটু আধটুকু চলিত, কিন্তু ফুটবল, হকি তখনও সমুদ্র পার হইয়া এ ণেশে পৌছে নাই। তবে তখন সভাসমিতিতে বক্তৃতা শুনিবার একটা আগ্রহ স্কুল কলেজের ছেলে-মহলে খুব দিল ; শ্ৰীযুক্ত সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের বক্তৃতা শুনিবার জন্য ছেলেরা বাগবাজার হইতে পদব্ৰজে ভবানীপুর পর্য্যন্তও যাইত । কিন্তু এ মেসের নিয়ম ছিল যে, দীর্ঘ অবকাশের সময় ব্যতীত অন্য কোন সময় মেসের কোন মেম্বর কোন সভাসমিতিতে পৰ্য্যন্ত যাইতে পরিবে না । মেসের অন্যান্য ব{ধস্থাও ভাল ছিল । ছাত্ৰগণের মধ্যে সকল অবস্থারই লোক ছিল;কিন্তু আহার সম্বন্ধে কোন প্রকার ইতার-বিশেষ ছিল না ; সকলে যখন একসঙ্গে আহারে বাসিত, তখন কেহ পৃথক করিয়া নিজের পয়সায় কিছু আনিয়া থাইতে পারিত না। বাসা-খরচ, বাড়ীভাড়া প্রভৃতিতে সে সময় এই মেসে আট নয় টাকার বেশী পড়িত না। সুতরাং পরেশ এ মেসে আসিয়া নিজের দীনতা একদিন ও অনুভব করিতে পায় নাই। সে দেখিত,মেসের বড় ছোট সকলেই তাহাকে সমান ভাবে আদর কারিয়া থাকে । তাহার একটা বড় ভয় ছিল, সামান্য একজন ভাণ্ডারী তাহার খরচ দেয়, তাহাকে সে কাকা বালিয়া ডাকে দুইহান্তে হয় তা অন্য ছাত্রেরা তাহাকে ঘৃণা করিবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য কৱিৰে, হয় তা মেসের বড়মানুষের ছেলেরা