পাতা:হরিশ ভাণ্ডারী (তৃতীয় সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ረሙ~ ՏԳ হরিশ ভাণ্ডারী লাগল ; ‘হরিশ কাকা, এটা দেও, ওটা দেও, আমাকে দেও’ বলে সৌরগোল করতে লাগল, আমার তখন মনে হোল বৃন্দাবনে রাখালু-বালকের উৎসব করছেন, আর আমার মত পাপীর কাছে হাত পেতে খেতে চাচ্ছেন। 2, 6न थiनग, 61 6भाडl, यदि আজ দেখতে, তোমার চোখ জুড়িয়ে যেত। সেই কথা বলতেই তাড়াতাড়ি তোমার কাছে এলাম।” দুর্গ বলিল “আজ তাদের কি ব্যাপার ছিল ?” “ব্যাপার কিছুই নয়। কাল রাত্রে একটা ব্যাপারী আমাকে পনারটা টাকা দিয়ে গিয়েছিল । আমার ইচ্ছা হোলো, ঐ টাকা। কয়টা দিয়ে পরেশের বাসার সকলকে খাইয়ে দিই। তাই আজি সকালে একটা মাছ কিনে দিয়ে এসেছিলাম ; তারপর দুপুরবেলা গিয়ে সব ব্যবস্থা করে তাদের খাইয়ে, এই ফিরে আসছি।” দুৰ্গা বলিল “বেশ করেছি, হরি ঠাকুর, তোমার মত কাজই করেছ। আমার অদৃষ্টে নেই, আমি দেখতে পেলাম না । দেখি, আমারও ইচ্ছে করে, আমি একদিন ওদের অমনি করে খাওয়াই। তা কি আর আমার অদৃষ্টে হবে! পিরেশকে ছেলেরা যে রকম ভালবাসে, তাতে ওদের যত্ন করতেই ইচ্ছে করে । আমার অদৃষ্ট ত তা আর নেই। তারা ভদ্রলোকের ছেলে, আমার বাড়ীতে তারা আসবেই বা কেন, আর আমিই বা সে সাহস করব কি করে।” এই বলিয়া দুর্গ একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস পরিত্যাগ করিলা । হরিশ বলিল “দুর্গা, তুমি মনে কষ্ট কোরো না ; আমি যেমন কয়ে পারি, তোমার এ ইচ্ছা পূর্ণ করব। এখন তা হ’লে যাই। q