পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিষে বিষাদ। مدهٔ বলবিহার বাবুর মাতার জানা দূরে থাকুক, আমরাই অনেকে জানি না, জানিলেও সৰ্ব্বদা কার্ঘ্যে পরিণত করিতে পারি না। লালবিহারী বাবুর স্ত্রী যতই মনে মনে বিরক্ত হউন প্রকাশ্যে কিছু বলিতে পারেন না। দিন কয়েক এই ভাবে অতিবাহিত হইলে এক দিবস পাড়ার সকল গিীরা নুতন বধু দর্শনার্থে লালবিহারী বাবুর বাট উপনীত হইলেন। লালবিহারী বাবুর মার্তা সকলকে সমাদরে বসাইয়া নুতন বউকে ডাকিলেন। অদ্য রবিবার লালবিহারী বাবু অন্তঃপুরে নিজ গৃহে শয়ন করিয়া আছেন, বিধুমুখী স্বামীর পর্যান্ধের পর্শ্বে বলিয়া স্বামীর সহিত কথোপকথন করিতেছেন। এমন সময়ে দাসী আসিয়া ডাকিল । লালবিহারী বাৰু ইহাতে বিরক্ত হইয়া উঠিলেন। কিন্তু কি করেন মাত ডাকিতেছেন সুতরাং বিধুমুখীকে যাইতে দিলেন। কিন্তু যত শীঘ্ৰ পারেন ফিরিয়া আসিতে বলিলেন। বিধুমুখী ঘোমটায় বদন আবৃত করিয়া রঙ্গভূমিতে পৌঁছি লেন। লালবিহারী বাবুর মাত কহিলেন “এখানে ঘোমটা কেন ? এ সকলি আমাদের বাড়ীর লোক বোল্পে হয়। বোল বউম বোস। একে প্রণাম কর, ইনি তোমার শাশুড়ী রসিন্ধের মা। রসিক যে আমাদের লালবিহারীর কাছারিতে ৰুশ্ব করে। উনি তোমার বড়জ ওঁকে প্রণাম কর।” এই রূপ সধবা বিধবা যে কয়েক জন ছিল সকলকেই বিধুমুখী প্রণাম করি লেন।” সকলেই ধনে পুত্রে লক্ষ্মী লাভের আশীৰ্ব্বাদ করিলেন এবং সকলের মাখার চুল একত্র করিলে ত হয় বিধুমুখীর এওঁ পত্নমায়ু হইবার জন্য দেবতাদের নিকট ক্ষয়ুরোধ করিলেন।