পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• ষোড়শ পরিচ্ছেদ। કઝ অনন্তর বিধুমুখীর পিতা মাতা বর্তমান আছেন কিনা, তাহার কয় ভাই, কয় ভগ্নী, কাহার কোথায় বিবাহ হইয়াছে, কাহার কয় সস্তান ইত্যাদি সমস্ত আবশ্বকীয় বিষয় অবগত হইয়া পানশুপারি গ্রন্থশাস্তর সকলে বিদায় হইলেন। বিধুমুখীও স্বামীর নিকট প্রত্যাগমন করিলেন। - এ সমস্ত বর্ণনা শীঘ্রই হইয়া গেল কিন্তু কায্যে পরিণত হইতে বিলম্ব হইয়াছিল। রাস্তায় দাড়াইয়া কিম্বা অন্য কোন স্থানে লোকের আগমন প্রতীক্ষা করা কত কষ্টকর তাহী যাহার প্রতীক্ষা না করিয়াছে তাহার সহজে বুঝিতে পারে না। “পলকে প্ৰলয়” যদি কথন জ্ঞান হয় তবে এইরূপ প্রতীক্ষা করিয়া থাকিবার সময়েই হইয়া থাকে। বিধুমুখীকে বিদায় দিয়া লালবিহারী বাবুর তাঁহাই অদ্য জ্ঞান হইতেছিল। মনে মনে মাতার উপর কত রাগ করিলেন তাহ বলা যায় না। প্রতীক্ষা করিতে করিতে তাহার নিদ্রাকর্ষণ হইল। লালবিহারী বাৰু নিদ্রিত হইলেন। চিন্তু চাঞ্চল্য হেতু সে নিদ্রা অরক্ষণের মধ্যেই ভাঙ্গিয়া গেল। কিন্তু লালবিহারী বাবুর বোধ হইল তিনি অনেকক্ষণ নিদ্রিত ছিলেন। বিধুমুখী এখনও ফিরিয়া আইসেন নাই দেখিয় তাহার পূর্কের রাগ দ্বিগুণবাড়িয়া উঠিল। মাতাকে কি বলিয়া উহার না বুৰাইবা দিবেন, কাহার বার বাইনে এই রূপ ভাবিতেছেন, এমন সময় হাসিতে হাসিতে বিধুমুখী লালবিহারী বাবুর শয়নাগারে প্রবিষ্ট হইলেন। লালবিহারী বিধুমুখী লালবিহারী বাবুর বিরক্তির প্রতি লক্ষ্য না করিয়া