পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিষে বিষাদ । یادد নিষ্কৃতি পাইল। অনন্তর তাহারা কেছ স্কৃত, কেহ পাঠ, কেহ চাউল ইত্যাদি দ্রব্য আহরণার্থ চতুর্দিকে নিষ্কান্ত হইল। কনষ্টেবলেরা ইত্যবসরে গ্রামের মধ্যে যে যে লোকের প্রতি কখনও কোন সন্দেহ হইয়াছে তাহাদিগকে ধরিয়া আনিয়া পৃথক পৃথক স্থানে বন্ধন করিয়া রাখিল। একে অন্যের কাছে যাইতে পারে না, কিন্তু সকলেই নিজ নিজ পরিবারাদির সহিত দেখা করিতে পায়। কেন পায় তাহ কে বলিবে ? এদিকে রায় মহাশয়, বটব্যাল ও ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় কিঞ্চিৎ দূরে সমবেত হইয়া আছেন এবং আগ্রহ সহকারে আর এক ব্যক্তির আগমন প্রতীক্ষা করিতেছেন। দারগা সাহেব প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোককে দৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ করির রায় মহাশয়কে কহিলেন “কৈ মহাশয় যার প্রতি আপনার সন্দেহ হয়েছে তার বাড়ী নিয়ে চলুন।" রায় মহাশয় যে ব্যক্তির প্রতীক্ষা করিতেছিলেন সে এখন পৰ্য্যন্ত না আসায় রায় মহাশয় কহিলেন “দারগ। সাহেব অনেকক্ষণ বকাকি কোরেছেন, একটু তামাক খান, এই যাচ্ছি,” এই বলিয়া ভৃত্যকে তামাক দিতে বলিলেন। দারগা সাহেবের তামাক খাওয়া শেষ না হইতে হইতে লক্ষ্মণচন্দ্র গুপ্ত আসিয়া উপস্থিত হইল । লক্ষ্মণের বয়স ৩০ । ৩২, হামবর্ণ, অপেক্ষাকৃত স্থল, একটু বেঁটে, অত্যন্ত মিষ্টভাষী কাহাকেও চটায় না, নিজেও কাহারও উপর চটে না। গালি দিলেও লক্ষ্মণকে রাগান ষায় মা । গ্রামে বিবাদ বিসস্বাদ যেখানে যাহা হইবেক লক্ষ্মণ তাহাতে মিশ্রিত থাকিবেই থাকিবে। লক্ষ্মণের বিষয় জাশয় নাই, কোন ব্যবসায়ও নাই। ঝগড়া কলছে