পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ পরিচ্ছেদ । থাকাই তাহার ব্যবসার এবং তাহাতেই অক্লেশে সংসারযাত্র নিৰ্ব্বাহ করে। লক্ষ্মণকে সকলে জানিয়া গুনিয়াও লক্ষ্মণের সাহায্য লইতে হয় ও লক্ষ্মণকে প্রসন্ন রাখিবার জন্য অর্থ দান করিতে হয়। কোন মোকৰ্দমা মামলায় যদি এক পক্ষে লক্ষ্মণকে না ডাকে লক্ষ্মণ অনাহূত অপর পক্ষে গিয়া উপস্থিত হইয়া তাহার সাহায্য করে। এই জন্যই রায় মহাশয় লক্ষ্মণকে ডাকিয়া পাঠাইয়াছিলেন, এবং সে যতক্ষণ না আইয়ে ততক্ষণ কোন কাৰ্য্য করিতে ইচ্ছা করেন নাই । - লক্ষ্মণ আসিয়া উপস্থিত হইলে রায় মহাশয় দারগা সাহেবকে ডাকিয় প্রথমতঃ বৈঠকখানার জানলার গরাদে ভাঙ্গ দেখাইলেন। দারগা সাহেব দেখিয়াই লক্ষণকে জনাস্তিকে ডাকিয়া লইয়া গেলেন। দারগা সাহেবের সহিত যে লক্ষ্মণের আলাপ আছে তাহা বলা বাহুল্য। গ্রামস্থ সমস্ত বিবাদ বিসম্বাদেই লক্ষ্মণ লিপ্ত থাকায় দারগা, বকৃসি উকীল, মোক্তার ইত্যাদি অনেক লোকের সহিত তাহার আলাপ ছিল। > - দারগ লক্ষ্মণকে ডাকিয় বলিলেন “একটা গরাদে ভেঙ্গে একজন লোক প্রবেশ কোরতে পারে না। দ্বিতীয়তঃ স্ত্রী লোকের অলঙ্কারাদি বৈঠকখানায় থাকা অসম্ভব। এরূপ মোকর্দমা চালাইতে খইলে অধিক ব্যয়ের আবশ্যক। আমি যা বোলুছি তা বেছ ? তুমি এসমস্ত কথা বাবুকে ভাল কোরে বুঝিয়ে বল!” । আপনি যা বলেছেন সে উচিত কথা। এ বিষয় বাৰু অবশ্যই