পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২২ হরিষে বিষাদ। পারে না। যে রাত্রিতে চুরির কথা এজেহার হইয়াছিল সে রাত্রে নকড়ী বাহির হয় নাই একথা মঙ্গল দ্বারা প্রমাণ হইল কিন্তু তাহাতে কোন ফল দর্শিল না। নকউীকে যথা বিধানে বন্ধন করিয়া দারগা সাহেব থানায় চালান দিলেন। লক্ষ্মণ চালান দিবার সময়ও নকড়কে কিছু খরচ করিতে কহিল। নকড় তখনও স্বীকার হইল না। লক্ষ্মণ কহিল "নকড় তুমি নিজ দোষে মোলে, বড় বন্ধু হয় গালে তুলে দেয়, কিন্তু না গিলিলে কার দোষ ?” যতক্ষণ নকড়ী বাড়িতে ছিল ততক্ষণ নকড়ীর মাতা কিছুই ভয় পায় নাই। কেবল সকলকেই গালি দিতেছিল । গরিব লোক আইন কানুন বোঝে না । আসামী, ফরিয়াদি, দারগা, বকলী ইহাদের নাম শুনিয়া ভয় পাইত, কিন্তু স্বচক্ষে জীবন্ত দারগ দেখে নাই । যখন দেখিল দারগাও সাধারণ মানুষের মতন তখন তাহার ভয় ঘুচিয়া গিয়া সাহস হইল। বিশেষ নকড় যে চুরি করে নাই ইহা সত্যই, তবে কেন দারগ। তাহাকে ধরিবে ? এই সাহসে ভর করিয়া সকলকে গালি দিতেছিল। কিন্তু যখন দেখিল মকড়ীকে দড়ী দিয়া বাধিয়া লইয়া চলিল তখন উচ্চৈস্বরে দিয়া উঠিয়া মঙ্গলার দুই হন্ত রিয়া কলি “মঙ্গল, এর উপায় কি বল । যদি এক শ টাকা লাগে তাণ্ড দেব, আমার নকড়ীকে এনে দে : মঙ্গল যদিও মামার স্থঃখে দুঃখিত, তথাপি এই জক কাশে নিজের দুঃখ একটু প্রকাশ করিয়া লইল। মঙ্গলের