পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৩

दिउँौश भविष्कृतं । సి মুকঠিন। কিন্তু লালবিহারী বাবুর সুচেহারার সুপারিসে একজন ধনবান কায়স্থ তাহাকে নিজ বাটতে স্থান দান করেন। লালবিহারী বাবু সেই বাটতে থাকিতেন। সেই বাটীর ভূতোরা র্তাহার কৰ্ম্ম কাৰ্য্যাদি করিয়া দিত, সেইবাটীর রজকে তাহার বস্ত্রাদি ধৌত করিত। কিন্তু লালবিহারী বাবু ব্রাহ্মণ, সুতরাং নিজের অন্নব্যঞ্জনাদি নিজে পাক করিয়া লইতে হইত। লালবিহারী বাবু এইরূপে দুই তিন বৎসর কালাতিপাত করিলে, হঠাৎ এক সময়ে জন কয়েক ডেপুটী কলেক্টরের প্রয়োজন হওয়ায় তিনি সেই কৰ্ম্মের জন্য আবেদন করিলেন। সকলেই প্রথমতঃ লালবিহারী বাবুকে উপহাস করিতে লাগিল, কিন্তু সৌভাগ্য বশতঃ দিন কয়েক পরেই তাহার সেই কৰ্ম্মে নিযুক্ত হওয়ার সম্বাদ গেজেটে প্রকাশিত হইল। কাহার অষ্টে কখন কি হয় কেহ বলিতে পারে না। যে কায়স্থ বাবুদিগের বাসান্তে লালবিহারী বাবু বাস করিতেন তাহাদিগের যে হীনাবস্থা হইবে তাহ কেহ স্বপ্নেও ভাবে নাই ; ফলতঃ লালবিহারী বাবুর যত উন্নতি হইতে লাগিল কায়স্থ বাকু দিগের ততই অবনতি হইতে আরম্ভ হইল। এক্ষণে কায়স্থ বাবুদিগের কর্তৃপক্ষের সকলেই লোকান্তর গত হইয়াছেন। বাবুদিগের বংশে একটা মাত্র সন্তান আছে। তাহার নাম নবীন। নবীন এক্ষণে লালবিহারী বাবুর অধীনে কাৰ্য্য করে। লালবিহারী বাৰু সকলকেই স্পষ্ট কথা কন। যদি কাহাকে নিন্দ করিতে হয় তাহার সমুথেই নিন্দা করেন। লালবিহারী বাবু বলেন লোকের অনুপস্থিতে তাহাকে নিন্দ করা ভিরু