পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনবিংশ পরিচ্ছেদ। ১২৭ পাঠকবর্গ অবগত আছেন যে বিধুমুখী নলিনকে অত্যন্ত স্নেহ করিতেন। কলিকাতা হইতে আসিবার অগ্রেই বলিয়াছিলেন যে নলিনের যাহাতে রন্ধন না করিতে হয় তাহা করিবেন কিন্তু এতক অন্য আর একজন ব্রাহ্মণ না পাওয়ায় সে প্রতিজ্ঞা পূরণ করিতে পারেন নাই। তথাপি নলিনের কষ্ট যত পারেন লাঘব করিয়া দিয়াছেন। নলিন মুখের দুঃখের কথা যখন যাহ উপস্থিত হইত বিধুমুখীর নিকট বলিত। অদ্য নলিন নকড়ীর কথা আদ্যোপান্ত বিধুমুখীকে কহিল। বিধুমুখী সমস্ত শুনিয়া যাহাতে নকড়ী খালাস হইয়া যায় তাহা করিবেন প্রতিজ্ঞ করিলেন। নলিন আশ্বস্ত হইয়া বাহিরে আসিয়া মঙ্গলকে সমস্ত কথা ভাঙ্গিয়া বলিল । পরদিবস প্রত্যুষে বিধুমুখী নলিনকে ডাকাইয়া তথাকার ভাল ভাল উকীল যে দুই তিন জন ছিল তাহাদিগকে ওকালতনাম দিতে বলিলেন। নলিন এই পরামর্শ অনুসারে মঙ্গলকে সমভিব্যাহারে লইয়া গিয়া যথাবিধি ওকাল তনামা দিল । অনস্তর মঙ্গল বাট চলিয়া গেল। নলিন লালবিহারী বাবুর বাসার অবস্থিতি করিতে লাগিল । . নিয়মিত দিনে লালবিহারী বাবুর কাছারীতে নকড়ীর মোকৰ্দমা পেশ হইল। লালবিহারী বাবু ইতি পূৰ্ব্বেই মোকৰ্দমার সমস্ত হাল অবগত ছিলেন। বাদির পক্ষের সাক্ষ্য লইয়া, প্রতিবাদির কোন কথা না শুনিয়াই মোকৰ্দ্দমা ডিসমিস করিয়া রায় মহাশয়কে এবং তাহার ভূত্য দিননাথ ঘোষের নামে মিথ্য সাক্ষ্য দিবার জন্য এক মোকৰ্দমা উপস্থিত্ত করিলেন ।