পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

க்ல. হরিষে বিষাদ । । সাহস হইল না। বটব্যাল চক্ষু মুদ্রিত করিয়াই থাকেন সুতরাং এ সমস্ত দেখিতে পান নাই। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন “খবর কি?” রায় মহাশয়ের চক্ষু হইতে বাস্পবারি বিগলিত হইতে লাগিল। কথা কহিতে চেষ্টা করিলেন বাক্য নিঃসরণ হইল না। তদর্শনে র্তাহার সমুভিব্যাহারী একজন সমস্ত বৃত্তান্ত খুলিয়া বলিল। ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় শুনিয়া দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করিয়া “ হরি, হরি” বলিয়া চুপ করিলেন, লক্ষ্মণ চুপে চুপে তথা হইতে নিজ বাট প্রস্থান করিল। বটব্যাল কহিলেন “এখন উপায় ?” ক্ষণকাল কেহ কিছু বলিল না। পরে ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় কহিলেন “আর ভদ্র লোকের জাত মান বাচান ভার হ’ল ইতর লোকে এরূপ প্রশ্রয় পেলে সৰ্ব্বনাশ হবে। সকলি কালের ধৰ্ম্ম! কলির শেষ উপস্থিত! আরও যে কি হৰে বলা যায় না! ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম তো একেবারে লোপ হয়েছে । একোদীঃ শ্ৰাদ্ধ আর কেহই করে না। আদ্যশ্ৰাদ্ধ ন কোরলে নয় বোলেই অদ্যাপি লোকে কোরছে। দিনকতক পরে তাও উঠে যাবে। কলির প্রভাবে কিছুই থাকবে না ! * . t সকলেই বিষাদে পরিপূর্ণ, শোকে মগ্ন, অপমানে দুঃখে মৃত্তপ্রায়। সুতরাং ভট্টাচাৰ্য মহাশয়ের কথা শেষ হইলে, আর কেহ কিছু বলিল না । . . . . . . r বটব্যাল ভায়ার দু একবার নাসিক ধ্বনি হইল। ভট্টাচা মহাশয় অঙ্ক বলে কহিলেন “টাল ভায় রান্ত্রি অধিক হ’ল, চল বাড়ী যাই।” পরে সকলের প্রতি দৃষ্ট করিয়