পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ১৩৬ হরিষে বিষাদ । বোৰে-মলিন আর কথা কহিতে পারিল না। তখন বিধুমুখী কহিলেন “আমি ত তা বলি নি, তা বলি নি। যদি আমি কখন তোমাদের বাড়ীতে যাই তবে নিয়ে যাবে কি ?” । একবিংশ পরিচ্ছেদ। নলিন বিধুমুখীর নিকট হইতে বিদায় হইয়া বিমর্ষ চিত্ত্বে লালবিহারী বাবুর বাস হইতে বাহির হইল। তাছার আপন । ভগ্নী ভিন্ন মলিমকে এত মিষ্টকথা এ পর্যন্ত কেহই বলে নাই, মলিন তাঁহাই ভাবিতে ভাবিতে চলিতেছে। তাহার যে দুই চক্ষু হইতে অশ্র ধারা পড়িতেছে তাহ টের পায় নাই। এমন সময় লালবিহারী বাবু কাছারী হইতে বাটী আদিতেছেন। মলিনের সাশ্রনয়ন ও ব্যাগ হাতে দেখিয়া লালবিহারী বাবু হঠাৎ চমকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন “ নলিন র্কাদে কাদে কোথায় যাচ্ছ ?” তাহার বোধ হইল যেন নলিনকে কেহু গালি দিয়াছে, নলিন সেই জন্য রাগ করিয়া যাইতেছে, অথবা বাটতে গৃহিণী তাহাকে লাৰিণী বাবুর কথা শুনিয়া-মলিন সকিয়া চাইল। ঋছিল “আমি আজ বাড়ী যাচ্ছি। নকড় আমাদের প্রতিবাসী, সে যাচ্ছে সেই সঙ্গে জমিও যাব। আপনার নিকট ছুটা নি রাই, কিন্তু বাড়ীর মধ্যে বলে এসেছি। তিনি অনুমতি করেছেন