পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশ পরিচ্ছেদ । sss সকলেরি বিরক্ত জরিয়া উঠিল। এ দিকে যে দিবসের কার্য্য সে দিবস না হওয়াতে কৰ্ম্ম বাকি পড়িতে লাগিল, আসামী ফরিয়াদি, সাক্ষী অকারণে নিত্য নিত্য আসিতে যাইতে হয় বলিয়া এবং তন্নিবন্ধন খরচের বাহুল্য জন্মায় এই সকল কারণে অসন্তুষ্ট হইতে আরম্ভ করিল। মুলতবী কাজের জন্য কালেক্টর সাহেব কড়া কড়া চিী লিখিতে লাগিলেন। মোকৰ্দমা করিতে দেরী হওয়ার কারণ র্তাহার, বিপক্ষে বেনামি দরখাস্ত পড়িতে আরম্ভ হইল। সংক্ষেপত লালবিহারী বাবুর জার মানসিক কণ্ঠের সীমা রহিল না । , - যতক্ষণ বাটতে থাকেন লালবিহারী বাৰু নিরষ্ঠ মলিন কখন কোথায় থাকে তাহারই অনুসন্ধানে ব্যস্ত থাকেন। যাই দেখিতে পান নলিন বাটীর মধ্যে গমন করিয়াছে অমনি নিজেও বাটীর মধ্যে গমন করেন। র্তাহার হৃৎপিণ্ড ধক ধক করিয়া কঁাপিতে থাকে, হস্ত পদও কম্পিত হয়, মুখ চক্ষু প্রায় রঙ্ক শূন্ত দেখায়। ভাবেন, কি না জানি দেখিব। কিন্তু কিছুই মন না দেখিয়া অপেক্ষাকৃত হর্ষোৎফুল্প হইয়া ফিরিয়া আইলেন। কাছারি থাকিতে থাকিতেও এইরূপ কখন কখন করিতে আরম্ভ করি লেন। বিধুমুখীকে বলিয়া যান যে নিয়মিত যে সময় বাট প্রত্যাগমন করেন অদ্য সে সময় আসিতে পারিকেননা । বৈকালিক আহার্ঘ্য দ্রব্য কাছারি পাঠাই দিতে বলেন। কিন্তু সে দিবস নিয়মিত সময় পৰ্যন্ত থাকা দূরে থাকুক তাহার দ্ব তিম ঘটা পূর্বেই ফিরিয়া আইসেন। রাস্তায় আসিবার সময় মন যে কিরূপ হয়, তাহ বলা দুঃসাধ্য, কিন্তু বাটী আগমন করিয়া যায়