পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ડે8ર হরিধে বিষাদ । দেখিতে আসিয়াছেন তাহা না দেখিতে পাইয়া অপেক্ষাকৃত প্রফুল্ল হন । । . - পূৰ্ব্বে সন্ধ্যার পর লালবিহারী বাবু কোন দিন মুনসেক বাবুর বাসায়, কোন দিন ডাক্তার বাবুর বাসায়, কখন কখন বা ছোট আদালতের জজ বাবুর বাসায় যাইতেন কিন্তু এক্ষণে আর কাছারি হইতে বাটা আসিয়া কাহারে বাসায় যান না। সকলে তামাসা বিদ্রপ করে, লালবিহারী বাবু অমুখ হইয়াছে বলিয়া কাটাইয়া দেন। বস্তুতঃ ভাবিয়া ভাবিয়া লালবিহারী বাবুর শরীর শীর্ণ হইয়াছে, অন্ধে রুচি কমিয়াছে, দেহের শক্তির হ্রাস হইয়াছে। ডাক্তার বাবুর ঔষধ সেবন করেন কিন্তু কিছুই ফল দশে না । f - --- বিধুমুখী লালবিহারী বাবুর মনের ভাব কিছুই জানেন না। তিনি সরল ও নিৰ্ম্মল-হৃদয়, তাহার মনে কোনও গোল নাই । নিত্য নিত্য নলিনের যাহাতে আর রন্ধন কাৰ্য না করিতে হয় তাহারি জন্ত লালবিহারী বাবুর নিকট অনুরোধ করেন। লালবিহারী বাবুর মনাগুণ তাহাতে শতগুণ বৃদ্ধি হয় তাহার, কিছুই জানেন না। লালবিহারী বাবুর রাত্রে নিত্র হয় না। বিধুমুখীর যখন চৈতন্ত হয় তখনি লালবিহারী বাবু শ্যায় এপাশ ওপাশ করিতেছেন দেখিতে পান। লোকে বলে মনের আনন্দ অপরকে বলিলে সে আনন্দ বৃদ্ধি হয়, মনের কষ্ট । অপরকে জানাইলে সে কষ্টের লাঘব হয়। কিন্তু লালবিহারী বাবুর কষ্ট কাহাকে জানাইবার যো নাই, কাহারও কর্নে তাহার বাষ্পমাত্রও প্রবিষ্ট করাইবার কথা সে নহে। নিজের মনাগুণে