পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ । 3.อจ বাপও তা অপেক্ষ বেশী কোতে পারতেন না। জন্ম জন্ম যদি আমি এমন ভাগনে পাই তবে আর কিছুই চাই নে ৷” মঙ্গলের দিকে চাহিয়া “মঙ্গল, বাবা, চিরজীবী হয়ে থাক।” এতদূর বলিয়া নকড়ীর স্বর গাঢ় হইয়া আসিল। নকড় আর কথা কহিতে পারিল না । , .. г মঙ্গল রাগে কম্পিত-কলেবর হইয়াছিল, কিন্তু নকড়ীর কথা শুনিয়া তাহার রাগ দূরে গেল, চক্ষুদ্বয় হইতে অশ্রু বর্ষণ হইতে লাগিল। কথা না কহিয়া গাড়টা হাতে লইয়া নিকটস্থ পুষ্করিণী হইতে জল আনিবার জন্য উদ্যত হইল। নকড়ী তদর্শনে গাত্ৰোখান করিয়া মঙ্গলের হস্ত হইতে গাড় টা লইয়া কছিল “বাবা তুমি বসে, আমি নিজেই জল আনছি।” মঙ্গল গাড়, ছাড়িবে না। অতঃপর উভয়েই একত্র হইয়া পুষ্করিণীতে গেল। নলিন তথায় আর থাকা অনাবস্তক মনে করিয়া নিজের বাটী গমন করিল। নকড়ীর মাতা দেখিয়া গুনিয়া অবাক হইল। তাহার পাষাণ হৃদয়ে পরের দুঃথ কখনও প্রবেশ করিতে পারে নাই। মঙ্গলের যে কষ্ট হইতে পারে, পরিশ্রম হইতে পারে একথা কখনও তাহার মন মধ্যে প্রবেশ করে নাই। মঙ্গল একটা কাঠের মানুষ এই রূপই তাহার সংস্কার ছিল। নকড়ীও এতকাল মঙ্গলকে কোন বিশেষ মিঃ কথাকছে নাই। হঠাৎ তাহার মুখে এরূপ কথা শুনিয় নকড়ীর মাতা বিক্ষিত হইল এবং কিঞ্চিৎ রাগও করিল। যতক্ষণ নলিন প্রাঙ্গনে বসিয়াছিল ততক্ষণ চুপ করিয়া রছিল। নলিন চলিয়া গেলে পুত্রবধুর উপর আপাততঃ সেই রাগের