পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ । راه ها নহে। তবে যেখানে নকড় ফিরিয়া আসিয়াছে সেখানে স্থা একটা মিষ্ট আলাপ করিয়া আত্মীয়তা প্রদর্শন করিতে আপত্তি কি ? অনেক রাত্রি কাটিয়া গেল। পরিশেষে নকড়ী শয়ন করিল। কিন্তু সমস্ত দিবসের ভাবনায় ও আহলাদে তাহার ঘুম হইল না। প্রাতঃকালের শীতল বাতাস লাগিয়া নকড়ীর একটু নিদ্ৰাকর্ষণ হইয়াছে এমন সময়ে লক্ষ্মণ চন্দ্র গুপ্ত আসিয়া নকড়ীকে ডাকিল । নকড়ী উঠিয়া বাহিরে আসিলে লক্ষ্মণ কহিল “নকড় তোমার যে এ মোকৰ্দ্দমায় কিছু হবে না তা আমি পূৰ্ব্বেই জানতেম। সুতরাং তুমি যে ফিরে এসেছ এতে আমার কোন আশ্চৰ্য্য বোধ হয় নাই। তুমি পাপ কর নি তোমার ভয় কি? গ্রামের সকল লোকই তো তোমাকে জানে ? যদি প্রয়োজন হতো আমি নিজে গিয়ে তোমার পক্ষে সাক্ষি দিতাম। কিন্তু ততদূর প্রয়োজন হয় নাই সেও এক মঙ্গলের বিষয়। আমরা সকলেই রায় মহাশয়ের রেয়ৎ সুতরাং প্রকৃত মনের ভাব যে যতদূর গোপন কোরে রাখতে পারে ততই ভাল।” পরে একটু হাসিয়া কহিল “কিন্তু নকড়ী-সেই খরচ পত্র কোরতে হলে, আমি যখন বলেছিলাম যদি তখন এর অৰ্দ্ধেক খরচ কোরতে তা হলে এক দিনের কষ্ট হতে না। তা তো তুমি শুনলেও না বুঝলেও না।” এই কথা শুনিয়া নকড়ীর ইচ্ছা হইল রায় মহাশয়ের পৃষ্ঠের সহিত যে দৃঢ় মুষ্টির পরিচয় হইয়াছিল লক্ষ্মণের পৃষ্ট্রের সহিতও তাহার পরিচয় করিয়া দেয়, কিন্তু আবার কিসে কি হয় এই ভয়ে মনের ভাব গোপন করিয়া রাখিয়া কহিল “আমি তখন রাগে বুঝতে পারি নি, নৈলে কি তোমার কথা লক্ষন করি * ।