পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ । $6.6 কথা বলুন। দৈব কাৰ্য্য কোবেন ভালই, কিন্তু দৈব কাৰ্য্যে তো আর মোকৰ্দমা হয় না ? মোকৰ্দমার কি হবে তাই এখন বিবেচনা করুন । ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়, ঈষৎ রাগত হইয়া কহিলেন “লক্ষ্মণ, তোমাকে আমি একজন বিজ্ঞলোক বোলে জানতাম। কিন্তু আজ তোমার মুখে এরূপ বাক্য গুনে দুঃখিত হোলাম । वि কার্ঘ্যে নিল করা উচিত নয়। শাস্ত্রের কথা উল্লেখ করেছি। শাস্ত্রে স্পষ্ট বোলছে নচ দৈবাৎ পরং বলং । এতো আমার রচা কথা নয়।” - লক্ষ্মণ কাতর ভাবে নিবেদন করিল সে ঠাট্টা করে নাই । ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় তাহার মনের ভাব বুঝিতে পারেন নাই। এই কথায় ভট্টাচাৰ্য্য সস্তুষ্ট হইলেন। পরে স্থির হইল মোকৰ্দমার বিষয় যখন যেমন আয়োজনের প্রয়োজন হয় তখন সেইরূপ করা হইবে, সকলেই ইহাতে সাহার্য্য করিবে। আপাততঃ শিব সস্ত্যয়ন বিধি। এবং কল্য হইতেই সস্ত্যয়ন আরম্ভ করা কর্তব্য । এইরূপ স্থির হইলে সকলে উঠিয়া ষে যাহার বাট গমন করিল। ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় রায় মহাশয়কে অঞ্জমের দ্রব্যাদি সত্বর নিজবাট পাঠাইয়া দিতে বলিলেন। গাভি স্কৃত প্রায়ই খাটি মিলে না এজন্ত মাখম আনাইয়া সত্বর স্কৃত প্রস্তুত করিয়া পাঠাইয়া দিতে বলিলেন। ভট্টাচাৰ্য মহাশয় পুনঃ পুনঃ দেখিয়াছেন স্কৃত থাটি না হওয়ায় অনেক সস্ত্যয়ন নষ্ট হইয়া গিয়াছে, কোন ফল দর্শায় নাই। একথা ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় নিজের স্বার্থের জন্য বলেন নাই। কেবল রায় মহাশয়ের মঙ্গলের জন্য বলিয়াছেন,।