পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চবিংশ পরিচ্ছেদ । ১৬১ বিনা দোষে দেওয়া যাইতে পারে, বিনা দোষে লওয়া যাইতে পারে। যাহারা নগদ টাকার কথা শুনিলে সিহরিয়া উঠেন তাহারাও তরকারী রূপ ধারণ করিলে সে টাকা লইতে কুষ্ঠিত হন না। অতএব উৎকোচ প্রচলিত আছে কিন্তু তাহার রূপের পরিবর্তন হইয়াছে। এরূপ দান ও গ্রহণকে পাঠক উৎকোচ না বলিলেও পারেন কিন্তু উৎকোচে যে ফল হয় ইহাতেও সেই ফল হয় এ কথার আর সন্দেহ নাই। লালবিহারী বাবু যে সকল বিষয়ে সৰ্ব্বদা চিন্তিত থাকেন তাহা পাঠক জানিতে পারিয়াছেন। গ্রহ বৈগুণ্য বশতঃ এই সময়ে আবার রামসিংহ চুটা হইতে প্রত্যাগত হইল। লালবিহারী বাবুর চিন্তানলে ঘৃতাহুতি পড়িল। সমস্ত দিবস চিন্তা চিন্তা চিন্তা। লালবিহারী বাবু অন্যমনস্ক হইয়া পড়িলেন। লোকে সম্মুখে বসিয়া কি বলিতেছে তাহা মনে থাকে না। যত টুকু মনঃসংযোগ করিয়া গুনেন ততটুকু স্মরণ থাকে ও বুঝিতে পারেন ক্ষণকাল পরে অন্ত্যমনস্ক হন, উপস্থিত কথায় মন নিবিষ্ট থাকে না। সুতরাং কিছুই বুঝিতে পারেন না, স্মরণ থাকে না। এক্ষণে পূৰ্ব্বাপেক্ষ অনেক বেলায় আফিসে বান ও অনেক অগ্ৰে বাট চলিয়া আইসেন। যে দিবসের যে কাৰ্য্য সে দিবস না হওয়াতে হাতে কাৰ্য্য জমিয়া গেল। সুচারু মনোযোগ না থাকায় মোকৰ্দমার বিচার হইতে লাগিল। যে দিবস যে মোকৰ্দমার দিন স্থির থাকে সে দিবস সে মোকৰ্দমা না হওয়ায় লোকের বায়’ ও কষ্ট বৃদ্ধি হইল সংক্ষেপত: লালবিহারী বাবুর অল্প দিনের মধ্যে অত্যন্ত অপযশ হইয়া উঠিল। ক্রমে এই কথা কালেক্টর সাহে