পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চবিংশ পরিচ্ছেদ । ১৬৩ পূৰ্ব্বে এক পরিচ্ছেদে বলা হইয়াছে ডেপুটী বাবুর কমিদনরের আমলাদিগকে গুরুঠাকুরের মতন দেখেন। বস্তুত সে কথা অলীক নহে। অদ্য লালবিহারী বাবুর বাটতে মহা ধুম। কমিসনরের আমলাদিগকে নিমন্ত্রণ করা হইয়াছে। ছাগল মুরগীর রক্তে প্রাঙ্গন লাল হইয়া গিয়াছে। কমিসনরের বাবুরুচি সাছেবের পাক শাক সমাপন করিয়া স্বয়ং আসিয়া রন্ধনাদি করিবে। ইহা অপেক্ষা লালবিহারী বাবুর পক্ষে আর কি অধিক সৌভাগ্য হইতে পারে ? জগন্নাথ তর্ক পঞ্চানন আসিয়া দ্বারে ডাকিয়া গলা ভাঙ্গিলেও এক পয়সা আদায় করিতে পারেন না, গুরুঠাকুর আসিয়া সপরিবারে রন্ধনাদি করিয়াও এক টাকার অধিক পান না। কমিসনারের বাবুরুচির সহিত অদ্য ৫ টাকার বন্দবস্ত হইয়াছে। কমিশনারের আমলাদিগের উপলক্ষে মহাকুমার মুনসেফ ও ছোট আদালতের জজ বাবুর নিমন্ত্রণ হইল। কিন্তু জজ বাবু প্রকাশ্য যে বাটতে কুকুট বালিদান (বা জবাই) হইয়াছে সে বাটতে খাইবেন না ও মুনসেফ বাবু যে বাটতে কখন নিমন্ত্রণ হয় নাই সে বাটতে যাইবেন না এই কারণে উভয়েই পীড়িত আছেন বলিয়া যাইতে পরিবে না বলিয়া দিলেন। উভয়েই সাক্ষিরা কিঞ্চিম্মাত্রও মিথ্যা কথা কহিলে অমনি ফৌজদারি সোপর্দ করেন। . । - যথা সময়ে আমলা বাবুরা আসিয়া উপস্থিত হইলেন। ஒ বিহারী বাৰু ব্ৰহ্মজ্ঞানী সুতরাং কোনরূপ পক্ষ মাস বা মৃগাংসে আপত্তি নাই, কিন্তু মদ্য পান করেন না। কমিশনারের আম