পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, পঞ্চবিংশ পরিচ্ছেদ। ১৬৫ এক জন বমন করিতে লাগিলেন, বোধ হয় ইহারা পাছে ভাল আহার করিতে না পারেন এই জন্ত উদর খালি করিয়া লইলেন। পরিশেষে যখন আহারের স্থান হইল তখন তিন চারি জন মাত্র আহার করিতে বসিলেন। অপরাপর সকলে নাসিক ধ্বনি করত নিদ্রা যাইতে লাগিলেন। লালবিহারী বাবু যৎপরোনাস্তি চেষ্টা করিলেন, কোন মতে ইহাদিগকে জাগাইতে পারি লেন না । + • পরদিবস প্রাতঃকালে লালবিহারী বাবু কমিশনার সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ করিতে গেলেন। সাহেবকে সেলাম করিয়া দাড়াইলেন, সাহেব সেলাম করিলেন কিন্তু কোন কথা বাৰ্ত্ত কহিলেন না। সাহেবের কুড়ি টা ঘোড়া। সইসের ঘোড়াদিগকে দানা দিতেছে। সাহেব যেন তাঁহাই পর্যবেক্ষণ করিতেছেন। লালবিহারী বাবু নানাবিধ কথা উপস্থিত করিলেন। সাহেব কেবল “হী” “না” ইত্যাদি জবাব দেন এমন সময় মুনসেফ বাবু আসিলেন। সাহেব যখন জজ ছিলেন তখন মুনসেফ বাবু তাহার অধীনে কাৰ্য্য করিতেন। মুনসেফ বাবুর দেখা করিতে আসা সেই সম্পর্কে । মুমসেফ বাবুকে দূর হইতে দেখিয়া জজ সাহেব অগ্রসর হইয়া হস্ত প্রসারণ পূর্বক মুনসেফ বাবুর হস্ত ধরিলেন। লালবিহারী বাবু তদর্শনে একেবারে মৃতপ্রায় হইলেন। জজ সাহেব মুনসফেরি সহিত কথাবাৰ্ত্ত কহিতে লাগিলেন। লালবিহারী বাবু নিরুপায় হইয়া নিকটস্থ এক জন সইসকে জিজ্ঞাসা করিলেন সাহেবের ছোলা (ঘোড়ার দানা) কি দর খরিদ করা হয়। সে কহিল, ৪ টাকা মণ। লালবিহারী বাবু বিস্ময় ভাণ করিয়া কহিলেন