পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, ষড়বিংশ পরিচ্ছেদ। ১৭৩ থাকিয় জিজ্ঞাসিল “কি হয়েছে ? নকড়ীর মাত কহিল “হৰে আর কি ? আমার কপালে যা ছিল তাই হয়েছে। তুমি মুখে সচ্ছন্দে থাক। আমি এখন আপদ বালাই হয়েছি, আমি চলে যাই। আপদ বালাই দূর হওয়াই ভাল।” এই বলিয়া নকড়ীর মাতা পূৰ্ব্বাপেক্ষা ব্যস্ত সমস্ত হইয়া রোচক বুচুকী বধিতে লাগিল । , , ক্ষণকাল মধ্যে পাড়ায় খবর হইয়া গেল নকড়ীর মাতা বাপের বাড়ী যাইতেছে। নকড়ীর মাতাকে সকলেই জানিত কিন্তু নকড়ীর মাতার বাপের বাড়ী আছে কি না কেহ জানিত না । এজন্য অনেকে কৌতুহলাবিষ্ট হইয়া দেখিতে আইল। কিন্তু দেখিতে আসা মাত্র, নকড়ীর মাত কাহারও সঙ্গে কথা কহিল না। সকলে যেমন আসিয়াছিল অমনি ক্ষণকাল পরে ফিরিয়া গেল। . - - নকড়ী নিজে কোন কারণ না জানিতে পারিয়া স্ত্রীর নিকট জিজ্ঞাসা করিল। নকড়ীর স্ত্রী প্রাতঃকালে শাশুড়ীর সহিত যে কথোপকথন হইয়াছিল তাহ বলিল। অত অল্প কারণে যে এত দূর ঘটবেক ইহা মনে ধারণা করিতে অসমর্থ হইয়া নকড়াভাবিল তাহার স্ত্রী অবশুই কোন না কোন কর্কশ কথা বলিয়া থাকিবে। এই ভাবিয়া স্ত্রীকে তর্জন গর্জন করিয়া কারণ জিজ্ঞাসা করায় সে কঁদিতে কাঁদিতে নকড়ীর পায়ে হাত দিয়া কহিল সে এতদ্ভিন্ন আর কিছুই জানে না। এদিকে নকড়ার মাত মুসজ্জিত হইয়া পদব্রজে গির্জালয়ে যাইতে উদ্যত। নকড়ী কহিল “ যদি নিতান্তই যাবে তবে