পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$8 হরিষে বিষাদ । মনোরম। তা হলে কি হয় ? তুমি চিরকাল বিদেশে থাক আমি রোজ বাড়ী থাকি এক দিনের তরে বাড়ী এসেছ। আজ ফিরিয়া যাও। ” এই কথা বলিতে বলিতে বিধবা কুটীরের দ্বারে আসিল। নলিনও তাহার পশ্চাৎ পশ্চাং আসিয়া কুটারে প্রবেশ করিল। নলিন একটা ব্যাগে করিয়া নিজের বস্থাদি আনিয়াছিল। সেই ব্যাগটা খুলিয়া যে বেতন পাইয়াছিল সেই চারটা টাকা মনোরমার হাতে দিল। মনোরম টাক কয়েকটা হাতে লইয়া কহিল “ নলিন, আবার চারটা টাকাই এনেছ ? আমি তোমাকে বার বার করে বলেছি বৈকালে কিছু কিছু খাবার খেও । তুমি আমার কথা শুনবে না? আমার অন্য কোন কথা তো তুমি লঙ্ঘন কর না, কিন্তু এ কথাটা শোন না কেন ? তুমি একটা টাকা নিজে খেয়ে যদি তিনটী আমাকে দাও তবে আমি যত খুসি হব চারটা পেলে তত খুসি হব না। এতে যে আমার কত কষ্ট হয় তা যদি তুমি টের পেতে তা হলে এমন কৰ্বে না।” নলিন কহিল “ দিদি আমার ক্ষিদে পায় না। ক্ষিদে না পেলে কেমন করে খাব। শীতকালের বেলা, সকলকে খাওয়ায়ে দাওয়ায়ে নিজে যখন খাই তখন প্রায় একটা দুটা বেজে যায় । তার পর আর বিকেল বেলা কথন খাব ?” মনোরমা কহিল “তবে রাদে যাবার আগে সকাল বেলা কিছু খেও। অবিশ্যি করে খেও । আমার গা ছুয়ে বল তা নৈলে শুনবে না।” নলিন। আচ্ছা তোমার গা ছুয়ে বলচি, খাব।