পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তবিংশ পরিচ্ছেদ । হস্তে এই ভার অর্পণ করিয়া কি গগনকেও গ্রন্থপদে অভিষিক্ত করিবেন ? বিশেষ একাৰ্য্য অতি গুরুতর, প্রকাশ হইয়া পড়িলে জাত, মান ও চাকুরি পর্যন্ত যাইবার সম্ভাবনা। অনেক বাদামুবাদ করিয়া পরিশেষে স্থির করিলেন এক দিবস রাত্রে নিজেই এই কাৰ্য্য সমাধা করিবেন। কিন্তু নলিনের হাতে র্তাহার বস্ত্রাদি থাকে না। ধোপার বাড়ী দিবার সময়ও নলিন দেয় না, ধোপার বাট হইতে ফিরিয়া আসিলেও মলিন হিসাব করিয়া লয় না। আলমারির চাবি বিধুমুখীর হস্তে থাকে। নলিনের সে চাবি পাইবার কোন সম্ভাবনা নাই। কাছারি হইতে ফিরিয়া আসিয়া নিজের বস্ত্রাদি উপরে আপন শয়নাগারে রাখেন নলিন সেখানে কখন যায় না। এরূপ অবস্থায় নলিনকে কাপড় চুরির অপবাদ দিলে কেহ বিশ্বাস করিবে না। ভাবিয়া চিন্তিয়া কিছু স্থির করিতে না পারিয়া গগনকে ডাকিলেন । গগন আসিলে মনের কথা কহিতে না পারিয়া তামাক দিতে বলিলেন। তামাক থাইতে খাইতে বলিবার চেষ্টা করিলেন কিন্তু বলিতে পারিলেন না । . . . . . . . . লালবিহারী বাবুর হৃদয় যে এই রূপ বিলোড়িত হইতেছে বিধুমুখী তাহার বিষ্ণু বিসর্গও জানেন না। লালবিহারী বাবুর চিন্তাকুল মুখ দর্শন করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন “ভূমি আজ কাল সৰ্ব্বদাই মুখ ভারি করে থাক কেন ? তোমার কাছারির গোলমাল তো চুকে গিয়েছে। এখন আর কি ভাবলা ?” .א" লালবিহারী বাৰু উত্তর করিলেন "শরীরটা সৰ্ব্বদাই অমুখের্ধকে, কি অসুখ তা বোলুতে পারি না, অথচ সাবেক মতন মুখও নাই।