পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছরিযে বিষাদ । - বিধু। তাইতে তোমার শরীর যেন সুধিয়ে যাচ্চে, তুমি আগের মতন খেতে পার না। নলিন বোল্ছিল তুমি আগে যেকটা ভাত খেতে এখন তার আদেকও খেতে পার না। । আবার নলিনের কথা—বিধুমুখীর মুখে নলিনের কথা। শুনিয়া লালবিহারী বাবুর বুকে যেন শেল বিদ্ধ হইল। কি করেন কিছুই প্রকাশ করিয়া বলিতে পারেন না। ক্ষণকাল পরে কহিলেন “তুমি এখান থেকে যাও দেখি, আমি একটু ঘুমাতে চেষ্টা করি। একটু ঘুমাতে পারলে বোধ হয় শরীরটা সারবে এখন ।” . বিধুমুখী গৃহত্যাগ করিয়া অন্ত গৃহে গেলেন। লালবিহারী বাবু প্রতিজ্ঞা করিলেন আর ওসব কথা ভাবিবেন না। কিন্তু কৃতকাৰ্য্য হইতে পারিলেন না। রোগী যেরূপ বিশ্রাম লাভার্থ যত পার্শ্ব পরিবর্তন করিয়া শয়ন করে ততই নিদ্ৰা দূরে যায় সেইরূপ লালবিহারী বাৰু তই ভাবিতে লাগিলেন ও ভাবনা আর ভাবিবেন না, ততই সেই ভাবনা পুনঃ পুনঃ তাহার মনে আসিতে লাগিল। শয্যায় শয়ন করিয়া মুদ্রিত নেত্রে এইরূপ অনেকক্ষণ ভাবিয়া ভাবিয়া এক উপায় উদ্ভাবন করিলেন। উপায়ট এই—এখন অবধি:কাছারির কাপড় গৃহে না আনিয়া বাহিবাটতে রাখিয়া আসিবেন। এইরূপ দ্ব চারি দিবস রাখিয়া এক দিবস রজনী যোগে তাহার একখানি ভাল গরদের রমানলিনের ব্যাগে দিবেন। পরদিবস রূমালের অনুসন্ধানে সকল ভূত্যের ব্যাগ বৈীকার তদারক করিবেন। নলিনের ব্যাগের ভিতর অরঙ্গই রূমাল পাওয়া যাইবে। তখন তাহাকে ফৌজদারিতে দিয়া