পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তবিংশ পরিচ্ছেদ। እሞ፥ নিজে বিচার করিয়া জেলে দিবেন। এই উপায় উদ্ভাবন করিয়া লালবিহারী বাবু অপেক্ষাকৃত প্রফুল্লিত হইলেন। তখন বিধুমুখীকে ডাকিয়া কহিলেন “যদি কিছু খাবার থাকে দাও দেখি ?” বিধুমুখী কহিলেন “কৈ, খাবার কি আছে তাতো জানিনে। তুমি আজ কাল কাছারি থেকে এসে জল খাওনা বলে আর কিছু তোএর হয় না। দেখি নলিনকে ডেকে জিজ্ঞাসা করি।” “আবার ঐ কথা। এক শ বার ঐ কথা। পদে পদে ঐ কথা ! এ ব্যাধির কি আর কোন ঔষধ নেই?” এইরূপ ভাবিয়া লালবিহারী বাবুর মনে হইল যে যে ঔষধ তিনি ঠিক করিয়াছেন তাহা অপেক্ষা আর উত্তম ঔষধ ঠিক হইতে পারে না। বিধুমুখী নলিনকে ডাকিলেন। নলিন কহিল “জলখাবার ঘরে কিছু নাই।” বিধুমুখী অবিলম্বে পুরী ও মোহনভোগ প্রস্তুত করিতে বলিলেন। বিশ পচিশ মিনিটের মধ্যে পুরী ও মোহনভোগ প্রস্তুত হইল। লালবিহারী বাবু জলযোগ করিয়া বৰ্হিবাটী আগমন করিলেন। . . " পরদিবস কাছারি হইতে আসিয়া লালবিহারী বাবু উপরের ঘরে না গিয়া নিচে বৈঠকখানায় বস্ত্রাদি পরিত্যাগ করিলেন। কহিলেন আমার কাছারির কাপড় এই খানেই থাকিবে। রোজ রোজ কাছারি যাইবার সময় এই খান হইতেই কাপড় পরিয়া যাইব । . . . . ത് দুই দিবস এইরূপ থাকিলে লালবিহারী বাবু সুযোগ মনে করিয়া ভাবিলেন আজি রাত্রেই কৰ্ম্ম সমাধা করিবেন অর্থাৎ