পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, অষ্টাবিংশ পরিচ্ছেদ। ** লক্ষ্মণ। বোলবেন, যদি সামান্ত মানুষের মতন যাই তাহলে আমাদের সাক্ষ্য গ্রাহ হবে না। যদি বড় মানুষের মতন যাই তা হলে মনে কোরৰে এর কখন মিথ্যা কথা কোচ্চে না । ভট্টাচাৰ্য্য। ভাল ভাল, বেশ বোলেছ । কাল যাতে সুবিধা হয় করা যাবে। একটু পরে ভট্টাচাৰ্য মহাশয় কছিলেন “লক্ষ্মণ কিছু জল খাবে কি ?” ভট্টাচার্য্যের রাগ ক্ষান্ত হইয়া লক্ষ্মণের উপর ভক্তি হইয়াছে। - লক্ষ্মণ বলিল “ না ।” ভট্টাচাৰ্য্য ইহাতে খুসি হইলেন। লক্ষ্মণ কিছু জল থাইতে চাহিলে ঘরে এমন কিছু ছিল না যাহা তাহাকে দিতে পারিতেন। একটু পরে কহিলেন “লক্ষ্মণ চিরজীবী হয়ে থাক। আমি তোমাদের নিয়ত আশীৰ্ব্বাদ না কোরে জল গ্রহণ করি না।” লক্ষ্মণ সসন্ত্রমে প্রণাম করিয়া কহিল “তা কি আমাকে বোলতে হবে ?” - অতঃপর লক্ষ্মণ নিজ বাটীতে চলিয়া গেল । ভট্টাচার্যাও । আহারান্তে শয়ন করিলেন । । - পর দিবস লক্ষ্মণের কথা অনুসারে ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় রায় মহাশয়কে বলিলেন “আমি মহাশয়ের পুরোহিত, মহাশয় পালকীতে যাবেন আমি গরুর গাড়িতে যাব এতে মহাশয়ের অপযশ হবে, বিশেষ আমাদের ছোট লোক জ্ঞানে আদালতে আমাদিগের কথা বিশ্বাস না কোরলেও কোরতে পারে। আমি কিছু নিজের জন্তে বোলছি না, আপনারি মঙ্গলের জন্ত। ;