পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, উনত্রিংশ পরিচ্ছৈদ । $$$ এ কয়েক মাসের অৰ্দ্ধেক বেত্তন তোমাকে দিব।” এই বলিয়া কয়েক মাসের টাকা গণিয়া দিলেন। রামসিং লালবিহারী স্বাবুকে আশীৰ্ব্বাদ করিতে করিতে চলিয় গেল। নলিন মেডিকেল কলেজে ভরতি হইয়াছে। মেডিকেল কলেজ একটী ক্ষুদ্র পৃথিবী বিশেষ। আর কোন কলেজ, আর কোন ইস্কুল মেডিকেল কলেজের মতন নহে। যাহার বিশেষ যত্ন করিয়া অমুসন্ধান না করিয়াছে তাহার এ কলেজের কিছুই জানে না। ছাত্রদিগের যে বেতন দিতে হয় তাহ ঘে বড় অধিক তাহা নহে, কিন্তু যে পরিশ্রম করিতে হয় সেরূপ পরিশ্রম রাস্তার কুলী মজুরেরাও করে না। এই জন্যেই বোধ হয় ধনবান লোকের পুত্রাদি কখন মেডিকেল কলেজে যায় না। প্রাতঃকালে যাইতে হয় আর সন্ধ্যার সময় ফিরিয়া আসিতে হয়। সমস্ত দিনে হয় তো দু ঘণ্টা পড়া হইল, কখন বা তিন ঘণ্টা ইহার বেশী নহে। পড়া এই ;~যে শিক্ষক মহাশয় টেবিলের নিকটে দণ্ডায়মান হইয়া নিজের হস্ত লিপি পড়িতেছেন, আর .ছাত্র বা শ্রোতৃ। বৰ্গ যাহ ইচ্ছা করিতেছে। কেহ নিদ্ৰা ৰাই তেছে, কেহ বা কোন উপন্যাস বা নাটক পড়িতেছে অথবা জুই জন কাগজ পেনসিলে গল্প করিতেছে। কথা কহিলে পাছে অধ্যাপক মহাশয় টের পান এই ভয়ে কাগজ পেনসিলেই গল্প চলে। কিন্তু তাই বলিয়া মনে করিবেন না যে কলেজে ছাত্রদিগের কোন কষ্ট স্বীকার করিতে হয় না। প্লাজুকালে ছটার সময় জাসিয়াছে আর অপরাহ ছটার সময় যাইতে হইবে। মধ্যান্ধুে আহারাদি অনেকের হয় না। অপেক্ষাকৃত সঙ্গতিপন্ন ১৭