পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

33 ছরিযে বিষাদ ॥ " হইলে মিষ্টার কিনিয়া খায়, তাহা ন হইলে ছাত্রেরা মুড়ি কড়য়ে দিনপাত করে। দিন কয়েক পরেই আবার রাত্রিতে থাকিতে হয় । তখন আরও অধিক কষ্ট হয়। যে দিন যাহার কলেজে রাত্রে থাকিবরি পাল সে দিন তাহার নিদ্রার সঙ্গে প্রায় সম্বন্ধ থাকে না। আমি স্থল এই কয়েকটা কথা মাত্র বলিলাম। বস্তুত সমস্ত কথা বলিতে হইলে একখানি গ্রন্থ না লিখিলে চলে না । নলিনকে এ সমস্ত কষ্টই সহ করিতে হইতেছে। ত্রিংশ পরিচ্ছেদ । লক্ষণের গুঢ় মন্ত্রণ । রায় মহাশয় ও লক্ষ্মণ উভয়ে অনেক উকীল পরীক্ষা করিয়া পরিশেষে রাধারমণ ৰাবুকে ওকালত নাম দিল। রাধারমণ বাৰু তালা বাটতে ৰাস করেন, হাতের দশ আঙ্গুলে দশটা আংটা পরেন, সৰ্ব্বদাই ইংরাজী কথা বলেন এবং মোকৰ্দমা হারিলেও অৰ্দ্ধদও জাদালতে বকবকি করেন। লক্ষ্মণ বলিল “উকীল তো এইরূপ চাই। মোকৰ্দমায় যা থাকে না থাকে লে তো হাকিমই বুঝবেন, কিন্তু দাড়ায়ে একজন ৰকবেকি ম৷ কোরলে হাকিম মনোযোগ কোরবে কেন ?" | পিয়ে পড়িলে লোকের বুদ্ধি লোপ হয়। রায় মহাশয়েরও সেইরূপ হইয়াছিল । লক্ষ্মণ যাহা বলিল তাহাতেই সক্ষত হইলেন। রাধারমণ বাবুকেই ওকালতনাম দিলেন। অন্তঃপর