পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিংশ পরিচ্ছেদ । לsא লক্ষ্মণকে বিশেষ অনুগ্রহ ও স্নেহ করেন। আশীৰ্ব্বাদ না করিয়া জলগ্ৰহণ তো এখনও করেন না পূর্বেও করতেন না। লক্ষ্মণের কথা শুনিয়া ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় কহিল “আমিতে মনে করেছি নামাবলি থান গায়ে দিয়ে যাব । তোমার কি বিবেচনা ?” লক্ষণ। যদি আদালতে অনেকক্ষণ থাকতে হয় তবে শীত কোরবে যে ? ভট্টাচাৰ্য্য। তবে নয় বালাপোয় খান নিয়ে যাব ? লক্ষ্মণ । তাহলে লোকে কি বোলবে? রায় মহাশয়ের পুরোহিতের বালাপোৰ গায় ? - ভট্টাচার্য। আমার তো বাপু আর কোন গাত্রবস্ত্র নেই ? তুমি কি বিবেচনা কোরেছ ? লক্ষ্মণ । আমার বিবেচনা কি শুনবেন ? 4. ভট্টাচাৰ্য । অবশ্য। তোমার কথা শুনবো না তো করি । কথা শুনবো ? লক্ষ্মণ। যদি আমার কথা শুনেন তবে রায় মহাশয়কে বলুন যেন তার ভাল শাল জোড়া আপনাকে দেন। তা হলে লোকে তুচ্ছ কোবে না। আর আমাকে জামিয়ার খান দিন, নিতান্ত না হয় নুতন বনাতখান। r ভট্টাচাৰ্য্য। যে কথা বোলেছ মন নয়। কিন্তু এক দিনের তরে শাল গারে দিয়ে কি বড় মানুষ হব? আর তো বধ গারে উঠবে না ? . . লক্ষ্মণ। আপনি তবে আমার কথা বুঝতে পারেন নি।