পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একত্রিংশ পরিচ্ছেদ । ९७७2 ঞ্জেলে লইয়া গেল। , মোহরেরকে টাকা আদায় জঙ্গ কাছারি রাখিয়া উকীল বাবুও চলিয়া গেলেন। লক্ষ্মণচন্দ্রও এক ফঁাকে নিজ বাসায় চলিয়া আসিল । অনেকক্ষণ অপেক্ষা করিয়া বিরক্ত হইয়া মোহরেরও বাসায় চলিয়া গেল । । ベ রায়মহাশয়কে এখন জেলে লইয়া যায় তখন তাহার দেওয়ানকে ডাকিয় বলিয়া গেলেন ভট্টাচার্ঘ্য মহাশয়ের নিকট হইতে শাল জোড়াটা ও লক্ষ্মণের নিকট হইতে জামিয়ার খানি যেন ফিরিয়া লওয়া হয়। এবং নিজে জেলের ব্যয়ের জন্য কুড়াটা টাকা লইয়া গেলেন। আর কহিয়া গেলেন যখন যে টাকা চাহিয়া পাঠান তাহ যেন অবিলম্বে পাঠান হয় । রায়মহাশয় শুনিয়াছিলেন জেলখানায় ব্যয় করিতে পারিলে কোনই কষ্ট হয় না। কিন্তু সে কত টাকার কাজ তাহা তাহার সংস্কার ছিল না। তিনি যে কুড়ী টাকা লইয়া গেলেন তাহার চারি পাচ টাকা কাছারি হইতে জেলখানায় যাইতে যাইতে খরচ হইয়া গেল। এ খরচ কেবল পথমধ্যে কনষ্টেবলের ধাক্কা হইতে নিস্কৃতি পাইবার জন্ত। আর পোনর ষোল টাকা জেলখানায় পেছিবামাত্র জেলের জমাদার ও প্রতিহারির প্রায় কাড়িয়া লইল বলিলে হয় । বস্তুত রায়মহাশয় জেলে আসিতেছেন শুনিয়া সকলেরি ধনলিঙ্গ শাণিত হইয়া রহিয়াছে । ক্ষণকাল পরে জেলায় আসিয়া রায়মহাশয়ের পরিধান বস্ত্রাদি ছাড়াইয়া লইয়া জেলের উরদী অর্থাৎ এক জাঙ্গিয়া গামুছা জাম জার টুপী পরাইয়া জেলের মধ্যে যথানিয়মে প্রবেশ করাষ্ট্রল এ দিকে রায়মহাশয়ের দেওয়ান ও বটব্যাল যথার্থই বিষঃ