পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিধে বিষাদ । گیاه পর্য্যন্ত লাল হইয়া উঠিল। গগন মস্তক অবনত করিয়া বসিল । যতক্ষণ মনোরম সম্মুখে ছিল ততক্ষণ কথা কহিতে পারিল না, কিছু থাইতেও পারিল না।' মনোরম তথা হইতে চলিয়া গেলে গগন নলিনকে বলিল “তুমি থাক আমি আবার বাজারে যাই।” নলন কছিল,“বাজারে যাবে কেন এই খানে খাওয়া দাওয়া কর। বিকেলে দুজনে একত্র হয়ে যাব।” গগন কোন মতেই থাকিল না। বাজারে গিয়া আপনি রন্ধনাদি করিল এবং আহারাস্তে শয়ন করিয়া রহিল। গগনকে নলিন ও মনোরমা উভয়ে থাকিবার জন্ত অনুরোধ করিল কিন্তু গগন কোন ক্রমে থাকিল না গগন না থাকায়, নলিন বিশেষ দুঃখিত হইল। মনোরম স্নান করিয়া রন্ধনাদি করিলেন। অন্ত দিন নলিন সকলের জন্ত রন্ধন করে আজ নলিনের জন্ত বিশেষ করিয়া রন্ধন হইল। চিরস্থও পৃথিবীতে নাই, চিরন্থঃখও নাই । বস্তুত প্রত্যহই একরূপ চলিলে জীবন ধারণের ভার দুঃসহ হইত। চিরকাল মুখ থাকিলে সে সুখের আস্বাদ পাওয়া যাইত না । যদি চিরকাল দুঃখ থাকিত, যদি কাল মুথ অবগুই হইবে এরূপ আশা না থাকিত তাহা হইলে দুঃখে পড়িলে কয়জন লোক জীবিত থাকিবার বাসনা করিত ? পৃথিবীতে মুখেরও যেমন প্রয়োজন আছে, দুঃখেরও তেমনি । প্রয়ােজন আছে। ক্ষুধা না থাকিলে সুস্বাদ দ্রব্যের কে যত্ন করিত ? তাহার গৌরব কোথায় থাকিত ? দুঃখ মুখের ক্ষুধা। দুঃখ না থাকিলে মুখের গৌরব থাকিত না। দুঃখকে সহসা জীবনপুষ্পের কীট স্বরূপ