পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:ত্রয়ন্ত্রিংশং পরিচ্ছেদ । ২১৯ আমাদের বাড়ীর কাছে সৃষ্টিধর ঘোষের বাড়ীতে অনেক কুমড়ো, লেবু, নারিকেল হয়েছিল। তাই নষ্ট কোরব এই ইচ্ছ। আমরা সকলে নিঃশব্দে গিয়ে প্রথমেই যতগুলি কুমড়া ছিল সমস্ত পেড়ে টুকরা টুকরা কোরে কেটে ফেললাম। পরে দেখলাম একটা কলাগাছে প্রকাও এককাদি কল ফলে রয়েছে। তখন সেই কলাগাছ কাটতে আরম্ভ কোরলাম। দেখতে দেখতে কলাগাছ কাটা হ’ল। গাছ এরূপ শব্দ কোরে মাটীতে পোড়ল যে তাতে কুম্ভকর্ণেরও নিদ্রা ভঙ্গ হয় কিন্তু স্বষ্টিধর বা তার বাড়ীর কারও নিদ্রা ভঙ্গ হ’ল না। তথন আমাদের আরও সাহস বাড়লো। তার গাছের সমস্ত নারিকেল পাড়লাম, গোয়ালে যত গরু ছিল সমস্ত ছেড়ে দিলাম। আরও কত কি কোরলাম তা এখন স্মরণ নাই। পরদিন স্বষ্টিধর উঠে সমস্ত দেখে একেবারে শিশুর মত কাঁদতে, লাগলো। আমাদের আর আননের সীমা রইল না। দুই এক দিন পরে সৃষ্টিধর জানতে পারলে যে আমরাই তার এ অনিষ্ট কোরেছি। তথন .সে থানায় গিয়ে নালিস কেরল। আমরা ভাবলাম নষ্টচন্দ্র কোরেছি এতে আমাদের কোন শাস্তিই হবে না। সুতরাং যখন দারগা এলো স্পষ্ট নিজ নিজ দোষ স্বীকার কোরলাম। কিন্তু দারগা আমাদের যখন চালান দেয় তখন আমাদের প্রথম ভয়ের সঞ্চার হ’ল। তখন আর র্কাদা কাটা কোরলে কি হবে ? যথা সময়ে আমাদের বিচার হয়ে ছ ছ মস কোরে কারাবাসের হুকুম হ’ল। জেলে এসে প্রথমে মনে হ’ল এ ছমাস আর শেষ হবে না। কিন্তু ক্রমে ক্রমে সময় পুরে উঠলো।