পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুস্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ। ২২৩ পয়সা অপব্যয় হইবেক কারণ আমি এ সম্বন্ধে বেয়ারিং চিটা লিখিয়া জবাৰ দিব তাহার আর সন্দেহ নাই। : অতএব পাঠকবৃন্দ প্রস্তুত হউন। যদিও এ পরিচ্ছেদে যাহাদিগের অবতারণা করা যাইবেক তাহাদিগের সহিত আপনাদিগের আর দেখা হইবার সম্ভাবনা নাই তথাপি যে কথাটা লিখিতেছি সেট সামান্য নহে। বস্তুতঃ সেট এত গুরুতর যে আমি বর্ণনা করিতে পারিব কি না সন্দেহ হইতেছে। নীলকমল বাচিয়া থাকিলে পদ্যে তান লয় সংযোগ করিয়া তাহা গান করিতে পারিত। কিন্তু নীলকমল লোকান্তরে গমন করিয়াছে। এক্ষণে হয় বঙ্কিম বাবু, নয় হেমচন্দ্র এই দুয়ের একজন এভার না লইলে আর উপায়ান্তর নাই। কিন্তু এ দুই মহামনস্বীর কাহারু সহিত আমার পরিচয় নাই। অপরিচিত ব্যক্তির উপর কেহ কোন গুরুতর কার্য্যের ভার দিতে চায় না। আমারও ইচ্ছা নয় যে এ উৎকট কাৰ্য্যের ভার তাহাদিগের হস্তে ন্যস্ত করি। অতএব যথা সাধ্য আমিই এ মহা ব্যাপার বর্ণনার ভার গ্রহণ করিলাম। বৃহৎ কার্ঘ্যে সকলের ক্রটা হয়। আমারও যে হইবেক তাহার আর সন্দেহ নাই। কিন্তু মরাল বেরূপ জলটুকু বাদ দিয়া দুটুকু খায়, আমার নিবেদন, পাঠক বৃন্দ ! যেন সেইরূপ দোষটুকু বাদ দিয়া গুণটুকু গ্রহণ করেন। (শেযু কথাটা কল্পতরু হইতে নকল কর।) । ডাক্তার বাবু গৃহিণী আজ মহাকুমার সমস্ত স্ত্রীলোকদিগকে নিমন্ত্ৰণ করিয়াছেন। লালবিহারী বাবুর স্ত্রী বিধুমুখী, মুনসেফ বাবুর স্ত্রী জগৎমোহিনী, ও অন্তান্ত ফৌজদারী ও দেওয়ানী