পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१९8 ইরিষে বিষাদ । আমলা সকলেরি পরিবারের নিমন্ত্রণ হইয়াছে, সকলেই আসিতে সম্মত হইয়াছেন। ডাক্তার বাবুর বাটীতে আজ মহাধুম। প্রত্যুষে গাত্ৰোখান করিয়া ডাক্তার বাবুর স্ত্রী রন্ধনশালায় গিয়াছেন, ডাক্তার বাবুর উপর অনুমতি হইয়াছে তিনি আজ বাটী আসিতে পাইবেন না। সুতরাং দশটার মধ্যে নিজের কাৰ্য্য সমাধা করিয়া তিনি বৈঠকখানা ঘরে বসিয়া আছেন। বেলা ক্রমে এগারটা বাজিয়া গেল। এমন সময়ে চারিজম বেহারী ঘৰ্ম্মাক্ত কলেবর হইয়া আৰ্ত্তনাদ করিতে করিতে এক খানা পাল্কী আনিয়া ডাক্তার বাবুর প্রাঙ্গণে উপস্থিত করিল। পালকীর মধ্যে হইতে আড়াই হাত লম্বা ও দেড় হাত চওড়া একটা মাংস পিও নিষ্ক্রান্ত হইল। বাটীর অভ্যন্তর হইতে এক জন চাকরাণী আসিয়া মাংস পিও সমাদরে লইয়া গৃহের মধ্যে চলিয়া গেল। ডাক্তার বাবু ভাবিতে লাগিলেন এ কি ? ক্ষণকাল পরে শুনিলেন ইনি মুনসেফ বাবুর সহধৰ্ম্মিণী । গুনিয়া দীর্ঘ নিশ্বাস ভ্যাগ করিয়া বলিলেন ‘তবু ভাল।” t ডেপুটী ও মুনসেফ কেমন, যেরূপ গুরু ও পুরোহিত, বিড়াল, ও কুকুর, গাধা ও ষোড় । । পুরোহিত সম্বৎসর মন্ত্র পড়ান, আর গুরু ঠাকুর বৎসরে একবার জাইসেন। প্রাপ্তির বেল কিন্তু গুরুঠাকুরের অধিক। বড়ালের দ্বারা কোন কাজ হয় না কিন্তু বিছানায় শয়ন করেন, দৈটুকু মুছেটুকু খান। কুকুর সমস্ত দিন রাত বাড়ী চৌকী দেয়, কিন্তু যদি দৈবাং গৃহের মধ্যে প্রবেশ করে অমনি লোকে দূর দূর বলিয়। তাড়াইয়া দেয়। ঘোড়া ও গাধার বিষয় বাক্য