পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३२७ হরিখে বিধাদ । , সহকারে তঁহাকে বেষ্টন করিয়া তাহার কথা শুনিতেছিল। জগৎমোহিনী এক পাশে একলা পড়িলেন ইহাতে র্তাহার ক্রোধানল আরও জলিয়া উঠিল। স্ত্রীলোকের অধিকাংশ কথাবার্তার বিষয় নিজ নিজ স্বামীকে লইয়। বিধুমুখীও নিজ স্বামীর কথা কহিতেছিলেন। ক্ষণকাল পরে জগৎমোহিনী কহিলেন “তোমার সোয়ামীর কথা যে আর ফুরায় না ?” - বিধুমুখী তখন জগৎমোহিনীকে দেখিতে পাইয়া কহিলেন “কি দিদি, তুমি এসেছ ? আমি এতক্ষণ তোমাকে দেখতে পাই নি।” জগৎমোহিনী মনে করিলেন কথাটা তাহাকে অবজ্ঞা করিয়া বলা হইল, এজন্ত তিনি কহিলেন “দেখ বার অবকাশ থাকলে তো ? যে সোয়ামীর কথা পেড়েছে, তার মধ্যে তো আর তির গুলি প্রবেশ হবার যে নাই।” বিধুমুখী জগৎমোহিনীর চেহারার ও কথার স্বরে জানিতে পারিলেন যে তিনি রাগ করিয়াছেন। তখন নিজেও একটু রাগত হইয়া উত্তর করিলেন “একলা আমিই কি সোয়ামীর কথা কই তোমরা কি কও না ?” জগৎ । কবনা কেন ? কিন্তু সোয়ামী বুঝেতো আছে ? আমার সোয়ামীর মতন ক জনের সোয়ামী আছে ? এমন সোয়ামী যার আছে তার সোয়ামীর কথা না কহাই আশ্চৰ্য্য। বিধুমুৰী শুনিয়া বিলক্ষণ রাগত হইলেন, কহিলেন "তোমার সোয়ামী কি গুণে এত ভাল, আর অপরের সোনীই বা কি দোষ করেছে?” ।