পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३३\* হরিষে বিষাদ , এই শ্লেষ বাক্যে জগৎমোহিনী অধিকতর রাগ করিয়া উঠিয়া দাড়াইলেন। তদর্শনে বিধুমুখীও উঠিলেন। ডাক্তার বাবুর স্ত্রী ভয়ে কম্পিত, পাছে একটা হাতাহাতি হয়। তিনি আসিয়া দুজনের মধ্যস্থলে দাড়াইলেন। অন্যান্ত সকলে এতক্ষণ চুপ করিয়া বসিয়াছিলেন। কেহ বা পরের কলহে কলহ করিবেন বলিয়া, কেহ বা মুদ্ধ তামাসা দেখিবার জন্য। কিন্তু এক্ষণে মুখামুখী ছাড়িয়া পাছে হাতাহাতি হয় এই জন্য সকলেই ব্যস্ত সমস্ত হইয়া দুই জনকে দুই ঘরে লইয়া গেলেন। ইহার পর কাছার কিরূপ আহার হইল সে কথা বলা द्रींश्शj ! পঞ্চত্রিংশ পরিচ্ছেদ। নকড় ও রামটহল । । যথা সময়ে রায়মহাশয় জেলখানা হইতে মুক্ত হইলেন। যে দিবস তিনি মুক্ত হইবেন সে দিবস প্রাতঃকালে তাহার দেওয়ান একখানি গাড়ি ভাড়া করিয়া জেলখানার দ্বারে উপস্থিত ছিলেন এবং তাহার ভূত্য পরিষ্কার বস্ত্রাদি লইয়া দণ্ডায়মান ছিল। রায়মহাশয় বাহির হইবামাত্রেই ভৃত্য আসিয়া পরিষ্কার বস্ত্রাদি প্রদান করিল। রায় মহাশয় সেই সমস্ত বস্ত্র পরিধান করিয়া গাড়িতে চড়িলেন। দেওয়ান গাড়ির সম্মুখে বসিল প্রখর কষ্ণঘাতে জখম্বয় ধাবমান হইল।