পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• পঞ্চত্রিংশ পরিচ্ছেদ । శ్రీ: মহাশয় এত কষ্ট পেলেন তবুওর রাগ পড়ে না ? এতে ওর ভাল হবে না। রায় মহাশয় ওকে দেখবেই দেখবে। ওর সমস্ত জারি জুরি জন্মের মতন ভেঙ্গে দেবে।” এই রূপ নানা জনে নানা রূপ বলিতে বলিতে যে যাহার বাট চলিয়া গেল । অন্ধকার গৃহে ইঠাৎ প্রবেশ করিলে কিছুই দেখা যায় না কিন্তু ক্ষণকাল তথায় অবস্থিতি করিলে ক্রমে ক্রমে বিলক্ষণ দেখিতে পাওয়া যায়। রায় মহাশয়ের লজ্জা সেই রূপ ক্রমে ক্রমে হ্রাস হইয়া গেল। এখন আর কাহারও সহিত দেখা করিতে তাহার কষ্ট হয় না, বস্তুত সকলের সহিতই তাহার আবার সাক্ষাৎ কথোপকথন ইত্যাদি সমস্তই চলিতেছে, এক মাত্র নকড়ীর সহিত তাহার সাক্ষাৎ হয় নাই। কিন্তু তাহার কারণ নকড়াই। নকড়ী যমের সম্মুখে যাইতে যত ভীত না হইত, রায় মহাশয়ের সহিত সাক্ষাৎ করিতে তদপেক্ষ অধিক ভীত হইত। অনেকে পরামর্শও দিয়াছিল “যা য়ায় মহাশয়ের পায়ে ধরে কেদে পড় গিয়ে।” কিন্তু কোন মতেই নকড়ীর স্নাহস হইল না। . - এই রূপে চারি পাঁচ মাস কাটিয়া গেল। কিন্তু নকড়ীকে কিরূপে জব্দ করিবেন একথা রায় মহাশয়ের অন্তঃকরণে নিয়ত জাগরিত আছে। র্তাহার মনোগত ইচ্ছা এই যে নকড়ী এরূপ সাস্তি পায় যে তাহার সহিত আর সাক্ষাৎ হইবার সম্ভাবনা না থাকে। তাহার যাহাতে প্রাণদণ্ড হয় এরূপ ইচ্ছা রায় মহাশয়ের ছিল না বটে, কিন্তু যাহাতে তাহাকে যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর যাইতে হয় এরূপ সংঘটন করিতে পারিলে তিনি আর কিছুই চান না।