পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, পঞ্চত্রিংশ পরিচ্ছেদ । ২৩৩ বলিল “রসো ভাই, দেখছে না আমার মাথায় মোট ?” “বাসের চাইতে কঞ্চি টনকেশ” রায় মহাশয় গ্রামের জমীদার হইয়া যে রূপ প্রভুত্ব না করিতেন তাহার ভূত্যবর্গ তাহাপেক্ষ বেশী করিত। রামটহল শীঘ্র শীঘ্র না যাইতে পারায় পশ্চাৎ হইতে “সর’ বলিয়া নকড়ীর পৃষ্ঠে এক ধাক্কা মারিল ! রামটহলের মনে মনে কিঞ্চিৎ অহঙ্কারও ছিল। সে বেহারী, দুবেলা ডাল রুটী আহার করে ও প্রত্যহ সকাল বিকালে কুস্তি করে। শাক ভাত খাওয়া বাঙ্গালী তাহার সহিত মল্লযুদ্ধে কে অর্ণটিবে ? এই সাহসে নির্ভর করিয়াই ধাক্কাটা মারা হইয়াছিল। ধাক্কার জোরে নকড়ী শাকো হইতে নিম্নে জলে পড়িয়া গেল ও তাহার মাথায় যে সমস্ত বস্ত্রাদি ছিল সমস্তই কর্দমাকীর্ণ হইয়া পড়িল । তদর্শনে নকড়ী রাগভরে রামটহলকে গালি দিল । রামটহল “কি বোলছিস বাঙ্গালী, যত বড় মুখ তত বড় কথা” এই বলিয়া হস্তস্থিত লাঠি দ্বারা নকড়ীর মস্তকে প্রহার করিল। , নকড়ী, রায় মহাশয় দূরে থাকুন তাহার বাটীর কুকুর বিড়ালকেও কিছু বলিবে না প্রতিজ্ঞা করিয়াছিল। কিন্তু দারুণ রেদনা ও অপমানের ভরে পূর্বের সমস্ত প্রতিজ্ঞা বিস্তৃত হইয়া সলম্বে রাস্তায় উঠিয়া রামটহলের গলা ধরিয়া পৃষ্ঠদেশে দুই চপেটাঘাং করিল। রামটহল অমনি ভূমি তলে শয়ন করিলেন। তখন তাহার হস্তের লাঠি বলপূর্বক গ্রহণ করিয়া নকড়ী সজোরে রামটহলকে এরূপ প্রহার করিল যে তাহার চৈতন্য পলায়ন করিল। অন্তান্ত পাঁচ ছয় জন লোক সেখানে )