পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

을98 হরিষে বিষাদ । জমা হইয়াছিল, তাহার রামটহলকে হত চৈতন্ত দেখিয়া তথা হইতে দ্রুতপদে প্রস্থান করিল। নকড়ীও অত্যন্ত ভীত হইল। দুই চারি বার রামটহলকে নাড়াচাড়া করিয়া দেখিল রামটহল কথাও কয় না, নিশ্বাস প্রশ্বাসও ছাড়ে না। তখন খান হইতে জল আনিয়া রামটহলের মুখে ও মাথায় দিল। ক্ষণকাল পরে জ্ঞান লাভ করিয়া দীর্ঘ শ্বাস পরিত্যাগ পূর্বক উ আঁ৷ শব্দ করিতে লাগিল। নকড়ী টের পাইল রামটহল মরে নাই। তখনি আর কেহ পাছে টের পায় এই ভয়ে হাটে না গিয়া আপনার কাপড়ের বোছকা লইয়া পুনরায় বাটী ফিরিয়া আসিল । ষটত্রিংশ পরিচ্ছেদ। নূতন হাঙ্গামা। যে পাঁচ ছয় জন লোক রাষ্টহলের বিড়ম্বন দেখিয়া দ্রুত পদে হাটে গিয়াছিল তাহারা রটনা করিল নকড়ী রাম টহলকে মারিয়া ফেলিয়াছে। অমনি দলে দলে লোক দেখিতে আসিতে লাগিল। রায় মহাশয়ও অতি সত্বর এ ঘটনার সংবাদ পাইলেন। পাইবামাত্র লোক জন পাঠাইয়া রামটহলকে, পালকী করিয়া বাটা আনয়ন করিলেন। দেখিলেন রামটহলকে একেবারে পিসিধা ফেলিয়াছে। কোথায় সে ডাল রুটীর শরীর আর কোথায় কি ? লগুড়াঘাতে সমস্তই নিষ্পেষিত হইয়া গিয়াছে।