পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ર૬ হরিমে বিধাদ { " দারগার পকেট ভারি করিয়া দেওয়ায় সে রায়মহাশয় শ্বেরূপ বলিলেন সেইরূপ লিখিয়া লইল । !, রিপোর্ট প্রথমতঃ পুলিস সাহেবের নিকট গেল। পুলিস সাহেব সে রিপোর্ট লালবিহারী বাবুর নিকট পাঠাইলেন। তাহার হুকুমে মকড়ীর চালান হইয়া হাজতে থাকিবার আদেশ হইল। এবার যাহাতে নকড়ী কোন মতে বাচিয়া যাইতে না পারে বিধিমত প্রকারে তাহার উদ্যোগ আরম্ভ হইল ! মহাকুমায় যত ভাল ভাল উকীল সমস্তই রায় মহাশয়ের পক্ষে নিয়োজিত হইল। এ সমস্ত উকীলেরই যে প্রয়োজন ছিল তাহা নয়, পাছে নকড় তাহার কাহাকে নিযুক্ত করে এই ভয়ে। ইহাতেও সস্তুষ্ট না হইয়া রায় মহাশয় লক্ষ্মণচন্দ্রকে একজন দক্ষ ব্যারিষ্টার নিযুক্ত করিবার জন্ত কলিকাতায় পাঠাইলেন। রায় মহাশয় কহিলেন “যে সকল উকীল নিযুক্ত করা হয়েছে তাতে আর ব্যারিষ্টারের প্রয়োজন নাই, কিন্তু মফঃসলের হাকিম ব্যাটার ব্যারিষ্টারদের দ্ভরায় এই জন্য একজন ব্যারিঞ্জার कांहे ।” - 籌 বটব্যাল সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি কহিলেন “যদি দরকার না থাকে তবে এত টাকা খরচ কোরে একটা কাক তাড়ান আলবার দরকার কি ? রায়। কাক তাড়ান কি ? . বটব্যাল। দেখেননি কি ক্ষেতে একটা কোরে খড়ের মানুষ গড়ে রাখে কিম্বা কাল হাড়িতে চুন দিয়ে একটা মাহুৰ আঁকিয়ে রাখে? তাই দেখে জানয়ারে ভয় পায়, আর সে ক্ষেত্তে যায় না।