পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१6१ :হরিষে বিষাদ । ব্যারিষ্টার সাহেব গৌর বর্ণ। অল্প চিন্তায় মস্তক প্রায় কেশ শূন্য। মুখে অল্প অল্প বসন্তের দাগ। স্থল কলেবর নাম বি, সি গোষ। হঠাৎ যদি কেহ ঘোষ বলে তাহ হইলে চটিয়া যান। বি সি টা বিপিনচন্ত্রের সংক্ষিপ্তসার। র্তাহার মাতা তাহাকে চিটী লিখিতে হইলে যদি বি সি না লিখিয়া বিপিনচন্দ্র লেখেন তাহা হইলে সে চিটি লন না। বিলাত হইতে প্রথমতঃ আসিয়া চব্বিশ ঘণ্টা প্যান্টুলেন কোটে আবৃত থাকিতেন। ধুতি চাদর পর দূরে থাকুক এ দেশে সাহেবের যে সাদা কাপড় পরেন গোষ সাহেব তাহাও পরিতেন না । সৰ্ব্বদাই গরম কাপড় পরিধান করিতেন। খানসাম, বাবুরচি, বেয়ার ইত্যাদি সাহেবদিগের যাহা প্রয়োজন সমস্তই নিযুক্ত করিয়াছিলেন। তখন ব্যবসায়ে নূতন প্রবৃত্ত বলিয়া খরচপত্রের জন্য তাহার পিতা তাহাকে যথেষ্ট টাকাও দিতেন । * - - গল্প আছে একজন ব্রাহ্মণের পুত্র ধৃষ্ট-ধৰ্ম্ম অবলম্বন করেন। এক দিবস পাদরি সাহেব তাঁহাকে নিমন্ত্ৰণ করিলেন। খৃষ্টিয়ান, গিয়া দেখিলেন টেবেলে খান সাজান রহিয়াছে । কঁাট চামচও প্রস্তুত আছে। খৃষ্টয়ান কখন এরূপ হাতিয়ার দ্বারা আহার করেন নাই। সকলে টেরিলে বসিলে প্রথমতঃ মাংসের ঝোল দিল। সকলেই চামচ দিয়া ঝোল খাইতে আরম্ভ করিল। খৃষ্টিয়ানও চামচেয় ঝোল তুলিলেন কিন্তু চিরকাল হাতই মুখে দেওয়া অভ্যাস, জাওঁ হাত মুখে দিলেন স্বতরাং চামচ হইতে ঝোল অঁহার বামম্বন্ধে পড়িয় তাহার বস্ত্রাদি নষ্ট হইয়া গেল ।