পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তত্রিংশ পরিচ্ছেদ। ર૪ আড়ালে থাকিয় মুখ বাড়াইয়া কথা কন, পাছে ধুতি পর দেখিলে জাত যায়। . লক্ষ্মণ চন্দ্র যখন দ্বারবানের সহিত কথাবার্তা কহিতেছিল গোষ সাহেব মনে করিলেন একটা শীকার পাওয়া গিয়াছে। বিলাত হইতে প্রত্যাগমন করা অবধি অদ্যপি কোন মোকৰ্দমা পান নাই। এই প্রথম মোকৰ্দমা পাইবার উপক্রম দেখিয়৷ ধুতি চাদর ব্যস্তসমস্ত হইয়া পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক ইংরাজি কাপড় চোপড় পরিলেন। ক্ষণকাল পরে দ্বারবান আসিয়া জানাইল, একজন মোকৰ্দমার জন্যে আসিয়াছে। গোষ সাহেবের আর - অধরে হাসি ধরে না। কহিলেন “বল একটু পরে সাহেবের সহিত দেখা হবে।” ভাবিলেন আসিবামাত্র দেখা করায় গরজ বুঝাইবে, কিন্তু অধিকক্ষণ থাকিতেও ভয় হইতে লাগিল পাছে আগন্তুক অন্য কোন ব্যারিষ্টারের বাটতে যায়। সুতরাং দশ বার সেকেণ্ডের মধ্যে দ্বারবানকে কহিলেন “ষে ব্যক্তি আসিয়াছে তাহাকে লইয়া আইস।” - - , লক্ষ্মণ আসিয়া সেলাম করিয়া দাড়াইল। পরে লক্ষ্মণ যে জন্স আসিয়াছে তাহার পরিচয় দিলে গোষ সাহেব তৎক্ষণাৎ তাহার হস্ত ধারণ পূৰ্ব্বক নিজে যে চেকিতে বসিয়াছিলেন তাছার নিকটে একখানি চৌকিতে তাহাকে বসাইলেন। অতঃপর মোকৰ্দমার হাল গুনিয়া কহিলেন তিনি অবশ্যই এ মোকৰ্দমায় উপস্থিত থাকিবেন এবং যাহাতে জিত হয় তাহা । করিবেন। লক্ষ্মণ মনে মনে কহিতে লাগিল “তোমার হাতে । চালানের ভার পড়লেই তো প্রতুল।” লক্ষ্মণ ব্যারিষ্টার সাহে